
দ্য ওয়াল ব্যুরো : মৃত্যু হল দিনহাটা কলেজের ছাত্র নিতাই দাসের। বৃহস্পতিবার দু’দল ছাত্রের সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছিলেন নিতাই। প্রথমে দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তিন দিন ধরে সেখানেই ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শনিবার বেলা ১২.২৫ মিনিটে মৃত্যু হয় নিতাইয়ের। সে দিন সংঘর্ষে জড়িতরা প্রত্যেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় দিনহাটা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জয় ঘোষ ও জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী সহ আরও বেশ কয়েকজনের নামে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রটির পরিবার। ইতি মধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও অধরা কাউন্সিলর জয় ঘোষ ও সাবির সাহা চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার দিনহাটা শহরের উপকণ্ঠে কলেজপাড়ায় দিনহাটা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র নিতাই দাসকে সাবির সাহা চৌধুরীর ছেলেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পাল্টা আক্রমণে জখম হন অভিজিৎ সরকার নামে দিনহাটা কলেজেরই এক ছাত্র। দুজনকেই দিনহাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই নিতাইকে কোচবিহারে রেফার করে দেন চিকিৎসকরা। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিল নিতাই। শুক্রবারই তাকে মারধরের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। এরই ভিত্তিতে পুলিশ আসিফ আলি , মনিরুল খন্দকার , দেবাশিস রায় , শশাঙ্ক দাস ও বিল্টু কর্মকার নামে ৫ অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে।
তিন দিন ধরে যমে মানুষে টানাটানির পর আজ হার মানে নিতাই। এই ঘটনায় অন্য অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।