
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শনিবার সারা দেশে ৩ হাজার টিকাকরণ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। প্রথম ভ্যাকসিন নেন দিল্লি এইমসের সাফাইকর্মী মনীশ কুমার। সরকার ঘোষণা করেছিল, প্রথম দিন ৩ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু দিনের শেষে জানা গেল, ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকাকরণের সূচনা করে বলেছিলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। কেউ যেন তাতে প্ররোচিত না হন। এদিন সন্ধ্যায় সরকারি সূত্র থেকে জানানো হয়, ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত। সেজন্যই প্রথম দিন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি। একসঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসাররা জানিয়েছেন, টিকা নিয়ে কেউ অসুস্থ হননি। তবে ‘কো উইন’ সফটওয়ার নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছে।
আমাদের দেশে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নামে দু’টি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। দু’টি প্রতিষেধকেরই দু’টি করে টিকা নিতে হবে। ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নির্মাতা দুই সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেকের থেকে কিনেছে ভ্যাকসিনের ১ কোটি ২০ লক্ষ ডোজ।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ করতেই হবে। তা না হলে টিকায় কোনও কাজ হবে না। আরও একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে বললেন প্রধানমন্ত্রী। টিকা নিলেই যে কড়াকড়ি কমে যাবে তেমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। কোভিড প্রোটোকল মেনেই চলতে হবে সাধারণ মানুষকে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংও জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমি দেশবাসীকে মনে করাতে চাই, করোনার দুটি ডোজ নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন দুটি ডোজের মাঝে প্রায় এক মাসের মতো ব্যবধান থাকবে।” মোদী বলেন, এই সময় বেশি সতর্ক হয়ে চলতে হবে। পারস্পরিক দূরত্ব মানতে হবে লোকজনকে।
একুশ সালে মোদীর ভ্যাকসিন মন্ত্র হল ‘দাওয়াই ভি অউর কড়াই ভি’। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরেও সতর্কতায় কোনও ঢিলেমি হবে না। প্রতিষেধক যেমন থাকবে তেমনি সমান তালে থাকবে কড়াকড়িও। মোদী বলেছিলেন, প্রতিষেধকও দরকার আবার কড়া সতর্কতাও। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসছে। নতুন সংক্রমণও কমেছে দেশে। এমন পরিস্থিতিতে সব বিধিনিষেধ ভুলে গেলে চলবে না। ঠিক যেভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে এতদিন এক জোট হয়ে দেশবাসী করোনা মহামারীর মোকাবিলা করেছে, পরবর্তীকালেও এমনই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এই স্বাস্থ্য সংকট থেকে রেহাই দেবে।