
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কিছুদিন ধরে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চলছে আমেরিকার। তারই মধ্যে কাবুলের কেন্দ্রস্থলে বৃহস্পতিবার বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাল তালিবান। নিহত হলেন ১০ জন। আহত ৪০ জনের বেশি। যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার কাছেই ন্যাটোর সদর দফতর ও আমেরিকার দূতাবাস অবস্থিত। বিস্ফোরণস্থলের আশপাশে কয়েকটি দোকান ও বাড়িও ভেঙে পড়েছে। জঙ্গি হানার দায়িত্ব স্বীকার করেছে তালিবান।
কাবুলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র নসরত রাহিমি বলেন, আহত ৪২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের তীব্রতায় কয়েকটি গাড়ি টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। আশপাশের দোকানগুলির দেওয়ালও ধসে পড়েছে।
#Exclusive footage from the site of today's car bomb ? blast occurred in #Shash Dark area of #Afghanistan capital #Kabul, as per Afghan ?? interior Ministry at least 10 people were killed & 40 others wounded, so far no any group claimed the responsibility, @mujahidandarabi pic.twitter.com/QnlCWQTnt4
— Ibrar Ahmed (@PhilanthropistI) September 5, 2019
জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, শহরের ব্যস্ত রাস্তায় তখন শত শত লোক চলাচল করছিলেন। এমন সময় সেখানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিসমিল্লা আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, বোমা ফাটার পরে আমার গাড়ির কাচ ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। তিনি নিজেও অল্প আঘাত পেয়েছেন।

এর আগে সোমবারই কাবুলে ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তালিবান। শহরের যে অঞ্চলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের অফিসা অবস্থিত তার কাছেই বিস্ফোরণ ঘটে। অন্তত ১৬ জন নিহত হন। আহত হন ১০০ জনের বেশি।
এর মধ্যেই আমেরিকার তরফে তালিবানের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী জালমাই খলিলজাদ জানিয়েছেন, দু’পক্ষে একটা সমঝোতায় আসা গিয়েছে। সমঝোতাসূত্র অনুযায়ী আগামী ১৩৫ দিনের মধ্যে আমেরিকার সেনা পাঁচটি সেনা ঘাঁটি খালি করে দেবে। এখন আফগানিস্তানের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটিতে মোট ১৪ হাজার আমেরিকান সেনা আছে।

খলিলজাদ তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তির যে খসড়া তৈরি করেছেন, তা নিয়ে ন্যাটো ও আফগান সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিতে সম্মতি দিলে তবেই তা চূড়ান্ত হবে।