
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একেই বোধ হয় বলে, কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। মানুষের শোকের এবং ভিড়ের সুযোগ নিয়ে বড়সড় হাতসাফাই চালাল চোরেরা! অভিযোগ, অরুণ জেটলির শেষকৃত্যে উপস্থিত জনতার মধ্যে ১১ জনের মোবাইল চুরি গিয়েছে! এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়-ও।
দীর্ঘ দিন অসুস্থতার পরে গত সপ্তাহে প্রয়াত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। রাজনৈতিক মহলে ঘনিয়ে আসে শোকের ছায়া। বহু মানুষ ভিড় করেন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। তবে এমন সময়েও যে অনেকেই নিজের কুপ্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তা বোঝা গেল এই সময়ে!
রবিবার দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে অরুণ জেটলির শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন জেটলির পরিবারের এবং রাজনৈতিক মহলের বহু মানুষ। যথেষ্ট ভিড় হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর শেষকৃত্যে। এই ভিড়েই বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়-সহ আরও ১১ জনের ফোন চুরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ!
সোমবার পতঞ্জলি সংস্থার প্রবক্তা এসকে তিজারাওয়াল টুইট করে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। টুইটে তাঁর অভিযোগ, রবিবার জেটলির শেষকৃত্যে তাঁর মোবাইল চুরি যায়। তাঁর একার নয়, সেই সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়-সহ মোট ১১ জনের মোবাইল চুরি হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

নিগমবোধ ঘাট সংলগ্ন কাশ্মীরি গেট থানা থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, তাদের কাছে এখনও এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল চোরেরা সব সময়েই কাজ হাসিলের জন্য এমন ভিড় খুঁজে বেড়ায়। আর সেই ভিড়ে মিশে থাকা মানুষজন যদি শোকার্ত বা অন্যমনস্ক থাকেন, তা হলে যে তা তাদের কাজে বাড়তি সুবিধা যোগ করে, তা বলাই বাহুল্য। সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে চোরের দল।
গত মাসেও দিল্লিতে এই একই ঘটনা ঘটেছিল। বিজেপি সাংসদ এবং সুফী গায়ক হংসরাজ হংসের এক শোভাযাত্রায় চুরি গেছিল একাধিক মোবাইল ফোন। এখনও উদ্ধার হয়নি সেগুলো। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, এ নিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে।