
দ্য ওয়াল ব্যুরো: “হাত বাড়ালেই বন্ধু পাওয়া যায়” না কখনও কখনও। কিন্তু কখন যে কে কার বন্ধু হয়ে যাবে, কার সঙ্গে যে ভাব জমবে, সেটা কেউ বলতে পারেন না আগে থেকে। এই যেমন দেখুন এক ৪ বছরের শিশু ডোমিনিককে। বনের মধ্যে একা একা ঘুরতে বেড়িয়েছিল সে। হঠাই ভাব জমে ওঠে এক হরিণের বাচ্চার সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই বন্ধুর ছবি দেখে আপাতত প্রেমে পড়েছেন নেটিজেনরা।
ভাব জমলেও, হাত ছেড়ে একা একা কিন্তু বাড়ি ফেরে নি ডোমিনিক। মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে, সময়মতো বাড়ি ফিরে এসেছে। কিন্তু সঙ্গে নিয়ে এসেছে নতুন বন্ধুকে। দরজা খুলে এই দৃশ্য দেখে স্বাভাবিকভাবেই চমকে উঠছেন ডোমিনিকের মা স্টিফেনি ব্রাউন। তিনি বলেছেন, “প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম, আমি বোধহয় স্বপ্ন দেখছি। বিশ্বাস তো হয়ইনি। বরং চমকে উঠেছিলাম। এও সম্ভব!”
স্টিফেনি এও জানিয়েছেন, “তখন আমি ঘরের কাজ করছিলাম। পায়ের শব্দ শুনে দরজা খুলতে গিয়েই দেখি এই দৃশ্য। এবং দু’জনেই ভীষণ স্বাভাবিক আচরণ করছে। ডোমিনিক একটুও ভয় পাচ্ছে না। আবার বাচ্চা হরিণটাও স্বাভাবিকভাবে রয়েছে। এমনকি ওরা ঘরেই ঢুকে আসছিল। এমন দৃশ্য যে চোখের সামনে কোনওদিন দেখব আমি কল্পনাও করতে পারিনি।”
অন্যদিকে মায়ের কাছে ডোমিনিক গল্প করে বলেছে, পার্কে খেলতে খেলতে দেখে এই বাচ্চা হরিণটা একা একাই ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ডোমিনিক এগিয়ে যেতে ভয়ে দূরে সরে তো যায়ইনি, বরং বাচ্চা হরিণটা তার সঙ্গ পছন্দই করছিল। এতটাই তাদের ভাব জমে গিয়েছিল, যে একসঙ্গে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে এসেছিল সে।
চোখের সামনে নিজের বাচ্চার এমন কীর্তি দেখে চমকে গেলেও, আসলে মজা পেয়েছেন স্টিফেনি। দৌড়ে গিয়ে ফোন নিয়ে এসে ঝটপট করে কয়েকটা ছবিও তুলে রেখেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়ে যায় ছবিগুলো।
অন্যদিকে স্টিফেনি জানান, ছবি তোলা হয়ে গেলেই ডোমিনিককে বাচ্চা হরিণটিকে বনের মধ্যে ছেড়ে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। কারণ তার মা-ও নিশ্চয় তাকে খুঁজছে! মায়ের কথা শুনে বনের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে আসে বন্ধুকে। কিন্তু তারপরেও নাকি বন্ধুর পিছন পিছন বাড়ি পর্যন্ত চলে এসেছিল হরিণটি! তার পর কী হয়েছে, সেসব কেউ জানেন না। তবুও এমন অদ্ভুত বন্ধুত্বের কাহিনি অনেকের কাছে, রূপকথার গল্পের মতো মনে হয়েছে।