
ইমিউনিটি ব্যুস্ট করতে পাঁচটি সহজ যোগাসনের হদিশ দিলেন বিশেষজ্ঞরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা আবহে প্রত্যেকেই শরীরের ইমিউনিটি ব্যুস্ট করার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে বদলে ফেলেছেন ডায়েট চার্টও। আগের চেয়ে প্রতিটা মানুষই এখন বিশেষ সচেতন নিজেদের শরীর নিয়ে। কারণ ভাইরাসের থেকে বাঁচতে হলে এটাই একমাত্র পথ।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মতোই এমন কিছু যোগাসন আছে, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ঠিক রাখে। হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। মন শান্ত রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রেস কমিয়ে দেয়। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বের করে দেয়। যোগাসন শুধু শরীর ফিট রাখে না, সুস্থও রাখে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। তবে হার্টের অসুখ থাকলে, সদ্য কোনও সার্জারি হলে, হাইপার অ্যাসিডিটি থাকলে যোগাসন করার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। বিখ্যাত যোগাসন ট্রেনার গ্র্যান্ড মাস্টার অকসর ইমিউনিটি ব্যুস্ট করতে পাঁচটি সহজ যোগাসনের কথা উল্লেখ করেছেন।
বজ্রাসন –
বজ্রাসন করার পর অন্তত পাঁচ মিনিট বসে থাকতে বলছেন তিনি। এর ফলে শরীরের উপর সুপ্রভাব পড়ে। যেমন ইমিউনিটি ব্যুস্ট করে। তাছাড়া হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। এমনকি যকৃতের সমস্যাও দূর করে। নিয়মিত করলে অতিরিক্ত স্ট্রেসও কমে যায়।
বদ্ধ কোনাসন –
উরু এবং নিতম্বের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই যোগাসন। শুরুতেই যাঁদের যোগাসনের ট্রেনিং দেওয়া হয়, তাঁদের সুপ্ত বদ্ধ কোনাসন শেখানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা হজমের সমস্যায় ভোগেন, নিয়মিত এই যোগাসন করলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
নৌকাসন –
নৌকার মতো পোজে এই আসন করা হয় বলেই এর নাম নৌকাসন। মূলত পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে এটি। তাছাড়াও শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের জন্যেও ভীষণ উপকারী। যকৃতের সমস্যা, প্যানক্রিয়াস, গাঁটের ব্যথা কমাতেও বিশেষজ্ঞরা এই আসন নিয়মিত বাড়িতে প্র্যাকটিস করতে বলেন।
ত্রিপদাসন –
হাইপারটেনশন থেকেই কিন্তু হাই ব্লাড প্রেসার ধরা পড়ে। যাঁরা অতিরিক্ত টেনশন করেন, বা কাজের চাপে ভীষণ স্ট্রেস পড়ে তাঁদের নিয়মিত এই যোগাসন করতে বলছেন তিনি। মন শান্ত রাখে। আস্তে আস্তে টেনশন কমে যায়। ফলে শরীর, মন দুইই আগের চেয়ে ভাল থাকে।
পদ্মহস্তাসন –
শুরুতেই ট্রেনিং দেওয়ার পর পদ্মহস্তাসন নিয়মিত বাড়িতে প্র্যাকটিস করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এটি শুধু অতিরিক্ত মেদ কমায় না, এমনটি শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও ভীষণ উপকারী। ভোরবেলায় সূর্য প্রণামের সময় এই আসন করতে বলা হয়। যার ফলে সারাদিন শরীর,মন দুইই চাঙ্গা থাকে।