
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কেরল ও মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে শোনা গেল বেঙ্গালুরুতে একটি আবাসনে মোট ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই আবাসনে আছে ন’টি ব্লক। সেখানে ১৫০০ মানুষ থাকেন। ১৫ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবাসনে ১০ জন করোনা পজিটিভ হন। সেই আবাসন সিল করে দেওয়া হয়েছে। পুর কমিশনার এন মঞ্জুনাথ প্রসাদ এই খবর জানিয়েছেন।
আবাসনের ছ’টি ব্লককে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে বেঙ্গালুরুর আর একটি আবাসনে ১১৩ জন কোভিড পজিটিভ হন। ওই আবাসনটিকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দু’টি আবাসনেই বিয়েবাড়ি উপলক্ষে উৎসব হয়েছিল। অনেক অতিথি এসেছিলেন। তারপরই কোভিড সংক্রমণ শুরু হয়।
জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবাসনগুলিতে ব্যাপক হারে টেস্টিং শুরু হবে। কারণ গত কয়েকদিনে বিভিন্ন হাউসিং কমপ্লেক্সে প্রায় দু’ডজন মানুষ কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক কৃষ্ণাপ্পা বলেন, যাঁরা কোভিড পজিটিভ হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগের বয়স ৫০-এর নীচে। আক্রান্তদের অনেকেই অ্যাসিম্পটোম্যাটিক।
গত কয়েকদিনে মহারাষ্ট্র সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে কোভিড গ্রাফ বেড়েছে। সারা দেশে দৈনিক সংক্রমণ দশ হাজারের নীচে নেমেছিল। এখন অনেক বেড়েছে। নভেম্বরের শেষ থেকে ক্রমশ করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমতে কমতে দেড় লাখের নীচে নেমে যায়। অ্যাকটিভ কেসের হারও থাকে দেড় শতাংশের কম। আশায় বুক বাঁধেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সংক্রমণের হার কমতে থাকে দ্রুত। কিন্তু গত ১৭ দিনের কোভিড কার্ভ আর অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দেখে ফের ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।

হিসেব বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। নতুন করে সংক্রামিত ৪ হাজার ৪২১ জন। ফলে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ফের দেড় লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে।
গত ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রের বুলেটিনে দেখা গিয়েছিল করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৮ হাজারের কাছাকাছি। তিনদিনের মধ্যে তা বেড়ে ৪ লাখ ৫৫ হাজারে পৌঁছয়। এরপর থেকে কোভিড কার্ভ কমতে শুরু করে। ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমে যায়। কিন্তু গত দুসপ্তাহে এই পরিস্থিতি বদলে গেছে। সংক্রমণের হার এতটাই বেড়েছে যে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে কিনা সে নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মহারাষ্ট্র ও কেরলের পরিস্থিতি বিপজ্জনক। অ্যাকটিভ রোগী বেড়ে গেছে ৭৪%। ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরেরও একই হাল। চড়চড় করে বাড়ছে সংক্রমণ।পাঞ্জাবে কোভিড পজিটিভিটি রেটও বেশি। এক সপ্তাহে বেড়ে গেছে ১.৬%। ফলে সংক্রমণ বেশিজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়েছে।