দ্য ওয়াল ব্যুরো: শরীরের ওপরের অংশে কোনও পোশাক নেই। হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। তাঁকে রাস্তায় হিঁচড়ে বেদম মারধর করছে একাধিক পুলিশ। এমনই একটি ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর পরেই সামনে আসে আসল ঘটনা। জানা গেছে, প্রহৃত ওই ব্যক্তি আদতে বিশাখাপত্তনমের এক চিকিৎসক। জানা গেছে, তাঁর নাম কে সুধাকর। চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
জানা গেছে, বিশাখাপত্তনমের নরসিপত্তনম হাসপাতালের চিকিৎসক ডক্টর কে সুধাকর। সম্প্রতি তিনি চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই না থাকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন সরকারের বিরুদ্ধে। দাবি করেছিলেন, করোনাভাইরাস রোগীর চিকিৎসার জন্য পিপিই অত্যাবশ্যকীয় জিনিস। এটি চিকিৎসকদের না দিলে তাঁরা নিজেরাই সংক্রমণের শিকার হবেন। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
অভিযোগ উঠেছে, এই দাবি তোলার অপরাধেই সরকারি রোষের মাসুল দিতে হয়েছে তাঁকে। ঘটনার ভিডিও সামনে আসতেই গোটা অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
আরও পড়ুন: মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি অন্ধ্রের প্রহৃত চিকিৎসক! সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পরিবারের
যদিও এই মারধরের ঘটনার পুলিশের পাল্টা অভিযোগ, ওই চিকিৎসক মদ্যপান করে অশালীন অঙ্গভঙ্গী করছিলেন। একটি ভিডিওয় ধরাও পড়ে, একদল পুলিশের উদ্দেশে চিৎকার করছেন ওই চিকিৎসক এবং অভিযোগ করছেন, পুলিশরা মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে কাজ করে, দলিতদের হত্যা করে। বিশাখাপত্তনমের পুলিশ সুপার আরকে মিনা জানিয়েছেন, ঠিক কী হয়েছিল তা জানতে তদন্ত চলছে। তবে ওই চিকিৎসক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
ঘটনার সূত্রপাত কী, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনও মামলা রুজু হয়েছএ কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, এপ্রিল মাসের ৮ তারিখে সরকারি হাসপাতাল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই চিকিৎসক কে সুধাকরকে। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয় তখন।