
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কংগ্রেসের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নেতাদের অন্যতম ছিলেন আহমদ পটেল। যদিও তিনি সবসময় থাকতেন লো প্রোফাইলে। গত ১ অক্টোবর তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে। ১৫ নভেম্বর তাঁকে মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুতে দলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হল, তা কেউই পূরণ করতে পারবে না।
আহমদ পটেল ছিলেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের বিশ্বস্ত অনুগামী। বহু বছর ধরে তিনি সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু নিজে কখনও সরকারি পদ নেননি। গুজরাত থেকে তিনি আটবার সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন লোকসভায়। পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছিলেন রাজ্যসভায়। ২০১৭ সালে পঞ্চমবার রাজ্যসভায় নির্বাচিত হওয়ার সময় তাঁকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়েছিল। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া এক ব্যক্তি ছিলেন তাঁর বিপক্ষে প্রার্থী।
আহমদ পটেলের জন্ম গুজরাতের ভারুচ অঞ্চলে। তাঁর বাবা ছিলেন সমাজসেবী। তিনি প্রথমে যুব কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হন। ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে ভারুচ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী মনোনীত করেন। ১৯৮০ ও ১৯৮৪ সালে তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে হেরে যান। তখন গুজরাতে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
পরবর্তীকালে আহমদ পটেল ছিলেন কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ। করোনা পজিটিভ হওয়ার পরে তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, গত কয়েকদিনে যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরা সকলেই যেন করোনা টেস্ট করিয়ে নেন।
বুধবার ভোট চারটে নাগাদ তাঁর ছেলে ফয়জল পটেল টুইট করে জানান, রাজ্যসভার সাংসদ আহমদ পটেল রাত সাড়ে তিনটেয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
ফয়জল টুইটারে লিখেছেন, “গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার বাবা, আহমদ পটেল ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে তিনটেয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মাসখানেক আগে তিনি কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন। মাল্টিপল অর্গান ফেলিওরের জন্য তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।” একইসঙ্গে টুইটারে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রয়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় তাঁর অনুগামীরা যেন ভিড় না করেন। কোভিড বিধি মেনে চলেন। ফয়জল পটেল লিখেছেন, “আমি নিজেও সবসময় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছি।”
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, “আহমদ পটেল ছিলেন কংগ্রেসের একটি স্তম্ভ। খুব কঠিন সময়ে তিনি দলের পাশে ছিলেন। আমরা তাঁকে মিস করব। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।” কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন, “তিনি আমাদের সকলের বন্ধু ছিলেন। তাঁর থেকে অনেকবার পরামর্শ নিয়েছি।”