
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ভিনগ্রহে প্রাণ থাকতে পারে। একথা আগেই স্বীকার করেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এবার ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন ইজরায়েলের মহাকাশ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান। তাঁর নাম হাইম এশেদ। বয়স ৮৭। তিনি ইজরায়েলের এক সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভিনগ্রহে সত্যিই প্রাণীরা আছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের কথা জানেন। মানুষ এখনও ভিনগ্রহের কোনও জীবকে পৃথিবীতে স্থান দিতে রাজি নয়। তাই তাদের কথা গোপন রাখা হয়েছে।
হাইমের দাবি, আমেরিকার সরকারের সঙ্গে রীতিমতো চুক্তি হয়েছে ভিনগ্রহীদের। তাঁরা মহাবিশ্বের গঠন সম্পর্কে গবেষণা করতে চায়। সেজন্য শুক্র গ্রহে তারা ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে। আমেরিকা তাদের নানাভাবে সাহায্য করছে। ভিনগ্রহীরাই ট্রাম্পকে বলেছে, তিনি যেন তাদের অস্তিত্বের কথা গোপন রাখেন। তারা চায়, মানুষ জ্ঞানবিজ্ঞানে আরও উন্নতি করুক, তাদের সমকক্ষ হোক। তারপরেই সবাইকে তাদের কথা জানানো হবে।
এর আগে হাইম একটি বইতেও একই দাবি করেছিলেন। বইয়ের নাম ‘দি ইউনিভার্স বিয়ন্ড দ্য হরাইজন_ কনভারসেশন উইথ প্রফেসর হাইম এশেদ।’
ইজরায়েলি বিজ্ঞানীর দাবি সম্পর্কে ট্রাম্প কোনও প্রতিক্রয়া জানাননি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় হাইমের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে। এক ব্যক্তি টুইটারে লিখেছেন, “২০২০ সালে এমনিতেই অনেক অদ্ভূত ব্যাপারস্যাপার ঘটছে। তার ওপরে ইজরায়েলের অধ্যাপক দাবি করেছেন, আমেরিকার সঙ্গে নাকি দীর্ঘদিন ধরেই ভিনগ্রহীদের যোগাযোগ আছে।”
ভিনগ্রহীদের আক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য গতবছর পেন্টাগনের একটি বিশেষ বাহিনী তৈরি করেন ট্রাম্প। গত সাত দশকে প্রথমবার ওই ধরনের বাহিনী গঠন করা হয়েছে।
গতবছর একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছিলেন, মঙ্গলগ্রহে প্রাণী আছে। শুধু তাই নয়, সেখানে ‘কিউরিওসিটি’ নামে যে মহাকাশযানটি পাঠানো হয়েছে, তার ওপরে নজর রাখছে মঙ্গলের বাসিন্দারা।
‘কিউরিওসিটি’ রোভারের পাঠানো একটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল, চাকতি আকারের এক সাদা গোলাকার বস্তু মঙ্গলগ্রহের মাটির ওপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নাসা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে এই বস্তুটি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে ‘কিউরিওসিটি’ রোভার এর আগেও এই একই বস্তুর ছবি একাধিকবার পাঠিয়েছে।
যাঁরা ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিঃসন্ধিগ্ধ তাঁরা এই ছবি দেখে স্বভাবতই যারপরনাই উল্লসিত হয়ে উঠেছিলেন। অন্যদিকে যে সংশয়বাদীরা চাঁদে মানুষ নামা থেকে শুরু করে নাসা’র সমস্ত কার্যকলাপকেই একটি বৃহৎ চক্রান্তের অংশ হিসেবে মনে করেন তাঁরা এই ছবিটিকে ভুয়ো এবং চক্রান্ত বলেই ঘোষণা করে দিয়েছেন।
নাসার মুখপাত্র এই বিষয়ে বলেছেন ”একটি সম্ভাবনা হল কোনও পাথরের গায়ে সূর্যের প্রতিফলনের ফলে এমন আলো দেখা যাচ্ছে। দিনের যে সময় এই ছবিটি তোলা হচ্ছে, সেই সময় সূর্যের অবস্থান থাকছে রোভারের উত্তর–পশ্চিমে এবং অপেক্ষাকৃত আকাশের নীচুতে।”