
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: কথায় বলে ”মাছেভাতে বাঙালি”। এখন বাঙালির ”মাছভাত” নিয়েই উঠছে নির্বাচনী আইনবিধি ভঙ্গের অভিযোগ। এগরার বিত্তশালী প্রমোটার বিদেশ পাত্র। তাঁর উদ্যোগেই একবারে মাছের ঝোল, ডাল, ভাত, চাটনিতে ভরা ডেক ভ্যানে করে পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামে। পাত পেড়ে খাচ্ছেন গরীব গ্রামবাসীরা। তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আসলে, বিদেশ পাত্র বিত্তশালী প্রমোটার হওয়া সত্বেও তিনি বিজেপির সক্রিয় নেতা। এবারের এগরা বিধানসভা থেকে নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় সম্ভব্য নাম হিসাবে তাঁর নামও উঠে আসছে। তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের দাবি, এই ভাবেই বিজেপি নেতা অর্থের প্রভাব খাটিয়ে গরীবদের প্রভাবিত করতে চাইছেন। বিরোধীদের প্রশ্ন, তিনি কি সারা বছর এই ভাবে গরীবদের মাছ-ভাত খাইয়ে যেতে পারবেন?
তবে, সেই দিকে একেবারে আমল দিচ্ছেননা বিদেশ। তাঁর কথায়, আগে গরীব মানুষের পেটের খিদে। তারপর ভোট। তাঁর দাবি, তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার অনেক আগে থেকেই নিজের একান্ত উদ্যোগে এই পঙক্তিভোজনের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাই এদিক থেকে দেখতে গেলে নির্বাধন বিধির লঙ্ঘণ তিনি করেননি। তিনি দলীয় ব্যানার ছাড়াই এই সমাজসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে বিদেশ পাত্র যাই দাবি করুননা কেন, যে ভ্যানে করে খাবার বিলি করা হচ্ছে, তাতে দলীয় প্রতীক ও মোদিজির ছবি লাগানো রয়েছে। আজ সোমবার এগরার দুবদা অঞ্চল এলাকায় খাবার বিলি ভ্যানে সেই প্রমাণ জ্বলজ্বল করছিল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ফলে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব।
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলছেন, ”করোনার জন্য এদিন লকডাউন গেল, তখন এমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এখন তিনি তাঁর অর্থের প্রভাব খাটিয়ে মানুষের ভোট লুঠতে চাইছেন। তাই আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে এবিষয় নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছি।”
সিপিএম জেলা যুব সম্পাদক ঝাড়েশ্বর বেরা বলছেন, ”নির্বাচন আচরণ বিধি লাঘু হওয়ার পর এধরনের অনুষ্ঠান আইনত নিষিদ্ধ। তবে তৃণমূল বিজেপির কালো টাকা থেকে গরীব মানুষ এই সুযোগে দুমুঠো যদি খেতে পায় তাতে আপত্তি নেই।”