
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ভারতের ওষুধের বাজারের এক বড় অংশ এখন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং টাটা গ্রুপের দখলে। বুধবার একটি সূত্রে জানা যায়, ভারতে ওষুধ ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে চলেছে অ্যামাজনও। ফার্মাসি চেন অ্যাপোলো ফার্মেসিতে তারা বিনিয়োগ করতে চায় ১০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৭৩৬ কোটি টাকা।
কিছুদিন আগে অনলাইন ফার্মেসি নেটমেডসের শেয়ার কিনেছেন মুকেশ আম্বানী। টাটা গ্রুপ কিনেছে ই-ফার্মেসি ফার্ম ওয়ান এমজি-র শেয়ার।
দেশে ই-ফার্মেসির ব্যবসা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের দোকানের ব্যবসায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, অনলাইন ওষুধের ফার্মেসি অনেক সময় ভুল ওষুধ দিতে পারে। তাছাড়া ওষুধের দোকানের ব্যবসা ভাল না চললে অনেকে বেকার হয়ে যাবেন।
কয়েকমাস আগে জানা যায়, ভারতে অনলাইন ব্যবসায় জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের মধ্যে। অদূর ভবিষ্যতে অনলাইন ব্যবসায় বিরাট অঙ্কের পুঁজি বিনিয়োগ করতে চলেছে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর রিলায়েন্স। সেজন্য তারা বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর থেকে সংগ্রহ করেছে ২ হাজার কোটি ডলার। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আছে ফেসবুক ও গুগলের মতো সংস্থা। অন্যদিকে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ভারতের বাজারে ৬৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে তৈরি।
ভারতে উৎসবের মরসুমের আগে জানা যায়, তিন মাসের অস্থায়ী চাকরিতে এক লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে অ্যামাজন ইন্ডিয়া। প্রতিবারই পুজো, দিওয়ালি থেকে যে উৎসবের মরশুম শুরু হয় তা চলে ক্রিসমাস থেকে নিউ ইয়ার ইভ পর্যন্ত। উৎসব উপলক্ষে এবার অনেক বেশি পরিমাণ কর্মী নিয়োগ করছে অ্যামাজন।
মূলত জিনিস ডেলিভারির ক্ষেত্রেই অ্যামাজন বেশিরভাগ কর্মী নিয়োগ করবে। তা ছাড়াও তাদের ট্র্যাকিং পার্টনার, প্যাকেজিং ভেন্ডর, ‘আই হ্যাভ স্পেস’ ডেলিভারি পার্টনার, অ্যামাজন ফ্লেক্স পার্টনার, হাউসকিপিং এজেন্সির ক্ষেত্রেও লোক নিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবার দোকানে গিয়ে পোশাকপরিচ্ছদ থেকে অন্যান্য জিনিস কেনার প্রবণতা কম। বেশিরভাগ মানুষই অনলাইনে জিনিসপত্র কিনবেন বলে.ধারণা করা হচ্ছে। সেদিক থেকে ডেলিভারি সিস্টেমে বিপুল পরিমাণ লোক না থাকলে সময়ে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে না।
মূলত মুম্বই, চেন্নাই, দিল্লি, কলকাতার মতো মেট্রো সিটি ও সংলগ্ন এলাকার জন্যই বেশির ভাগ কর্মীকে নিয়োগ করবে অ্যামাজন ইন্ডিয়া। তা ছাড়াও অন্যান্য রাজ্য ও শহরেও কর্মী নিয়োগ হবে। অস্থায়ী হলেও উৎসবের মরশুমে এক লক্ষ কর্মসংস্থানকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন অনেকে।