
করোনা নিয়ে হাসপাতালে কেমন করে সময় কেটেছে, জানালেন অমিতাভ
তিনি কেমন করে সময় কাটিয়েছেন করোনা নিয়ে হাসপাতালে থাকার সময়ে? এক ভক্তের এমন প্রশ্নের উত্তরেই জানিয়েছেন সেই সব কথা। তিনি এমনটাও জানিয়েছেন যে, হাসপাতালের বেডে বসেই তিনি একটি ডকুমেন্টরি ফিল্ম দেখেছেন। তবে সেই ফিল্মের নাম জানাননি বলিউডের শাহেনশা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এখন কাজ করার সুযোগ নেই। করোনা আবহে প্রবীণ অভিনেতা, অভিনেত্রীদের শ্যুটিংয়ে যোগ দেওয়ার অনুমতি মেলেনি। তাছাড়া সবেই হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি করে সক্রিয় অমিতাভ বচ্চন। রবিবার ব্লগে প্রবীণ শিল্পীদের কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পরে এদিন জানালেন হাসপাতালে দিন যাপনের কথা।
আরও পড়ুন
২২৫ টাকায় ভ্যাকসিন, ভারতের সেরামকে ১৫ কোটি ডলার বিল গেটসের
শুধু এখন নয়, হাসপাতালে থাকার সময়েও সোশ্যাল মিডিয়া আর ইন্টরনেট ব্যবহারই ছিল তাঁর কাজ। এদিন সেটাই টুইট করে জানিয়েছেন বিগ বি। তিনি কেমন করে সময় কাটিয়েছেন করোনা নিয়ে হাসপাতালে থাকার সময়ে? এক ভক্তের এমন প্রশ্নের উত্তরেই জানিয়েছেন সেই সব কথা। তিনি এমনটাও জানিয়েছেন যে, হাসপাতালের বেডে বসেই তিনি একটি ডকুমেন্টরি ফিল্ম দেখেছেন। তবে সেই ফিল্মের নাম জানাননি বলিউডের শাহেনশা।
অমিতাভ এদিন জানিয়েছেন, তিনি ওই সময়ে টুইটারে বিভিন্ন জনকে উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি নিজের চিন্তাভাবনা শেয়ার করেছেন। এছাড়াও কিছু পুরনো ক্রিকেট ম্যাচ দেখেছেন, একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম দেখেছেন এবং বিশ্রাম নিয়েছেন। এছাড়াও ওষুধ খাওয়া তো ছিলই। সেই সঙ্গে প্রাণায়াম আর মোবাইল ঘেঁটেছেন ইচ্ছা মতো। জানিয়েছেন ওই ক’টা দিনে তিনি মোবাইল ফোনের অনেক অজানা ফিচার জেনেছেন।
তবে এদিন যতটা সহজ করে হাসপাতালে সময় কাটানোর কথা তিনি লিখেছেন ততটা সহজ ছিল না সেই দিনগুলো। সেকথা হাসপাতালে থাকার সময়েই একটি ব্লগে লিখেছিলেন বিগ বি। সেই ব্লগের ছত্রে ছত্রে ধরা পড়ে একলা থাকার যন্ত্রণার কথা। লিখেছিলেন, ঠান্ডা ঘরে একা একা ঘুমনোর চেষ্টা কিন্তু মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। চোখ বন্ধ করে রাতের অন্ধকারে শুধু ঘুমনোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাওয়া। সারাটা দিন নিজের ছায়া ছাড়া আর কোনও সঙ্গী নেই।
১১ জুলাই তিনি মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ২ অগস্ট। হাসপাতালে থাকার সময়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন বিগ বি। তাঁর অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানানো থেকে জীবনদর্শনের নানা কথা এই সময়ে শেয়ার করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এমনও লেখেন যে, মানুষের থেকে দূরে থাকার এই সময়টা কঠিন। হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা কোভিড-১৯ রোগীদের উপরে মানসিক ধাক্কাও কম নয়। সপ্তাহের পর সপ্তাহ কোনও মানুষকে দেখা যায় না। চিকিৎসক বা নার্সরা আসেন কিন্তু তাঁরাও সবাই পিপিই-তে ঢাকা। তিনি লিখেছিলেন, সবাই যেন রোবটের মতো আসেন, নিজের কর্তব্যটুকু সেরেই চলে যান।