
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বিশ্বে এমন কোনও শক্তি নেই যা বিহারে ১০ লক্ষ চাকরি দিতে পারে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদবকে এভাবেই কটাক্ষ করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শনিবার আরজেডির নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করলেন তেজস্বী। তাতেও বলা হয়েছে, তাঁরা জিতলে বিহারের ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণীকে চাকরি দেবেন। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করে তোলা হবে। বিজেপিকে কটাক্ষ করে এদিন তেজস্বী বলেন, তারা মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে।
তেজস্বীর কথায়, “আমরা ১০ লক্ষ চাকরির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তাতে কোনও ফাঁকি নেই। আমরা বিজেপি সরকারের মতো ৫০ লক্ষ চাকরির ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিইনি।” পরে তিনি বলেন, “বিহারের রাজ্য বাজেটের পরিমাণ ২ লক্ষ ১৩ কোটি টাকা। তার মাত্র ৬০ শতাংশ খরচ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। তারা ৪০ শতাংশ খরচ করতে পারেনি। ওই ৪০ শতাংশের পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি টাকা।”
পরে তেজস্বী বলেন, “আমরা বিহারের উন্নয়ন চাই। আমরা চাই বিহারে চাকরিতে নিয়োগের হার জাতীয় গড়ের থেকে বেশি হোক। নীতীশ কুমার আর বিহারের প্রশাসনের দায়িত্ব নিতে পারছেন না। তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।”
বেকারত্ব, অতিমহামারী ও পরিযায়ী শ্রমিক, তিনটি ইস্যুতে নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। এবার তেজস্বীর সভাগুলিতে প্রথম দিন থেকে ভাল জমায়েত হচ্ছে। নীতীশ কুমার যে হেতু বিজেপির জোট সঙ্গী তাই সংখ্যালঘু ভোটের পুরোটাই আরজেডি তথা তেজস্বীর দিকে ঝুঁকেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। তা ছাড়া আরজেডির নিজস্ব যাদব ভোট তো রয়েছেই।
বিজেপির মুখপাত্র বলেন, নীতীশের জমানায় বড় সাফল্য হলে শান্তি শৃঙ্খলা স্থাপন করা। লালু জমানায় যে জঙ্গলরাজ চলছিল, খুন, অপহরণ চলছিল তা বন্ধ করা। এখন সে সব নিতান্তই অতীত। দুই, বিহারে মহিলাদের ক্ষমতায়ণের লক্ষ্যে কাজ করেছেন নীতীশ কুমার। এবং তিনি রাস্তা, সেচ বাঁধ, সেতু, রেল পথ সহ পরিকাঠামো উন্নয়ন করে শিল্প সহায়ক করে তুলেছে এনডিএ সরকার।
বিহারে এ বার ভোট গ্রহণ হবে ৩ দফায়। প্রথম দফায় ২৮ অক্টোবর ১৬ টি জেলার ৭১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। পরের দফায় ৩ নভেম্বর ভোট হবে ৯৪ টি আসনে। তৃতীয় দফায় ৭ নভেম্বর ১৫ টি জেলার ৭৮টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটের ফল ঘোষণা হবে ১০ নভেম্বর। প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২৯ নভেম্বর।
অনেকেই মনে করেছিলেন, ভাইরাসের কারণে পিছিয়ে যাবে ভোট। কিন্তু তা হচ্ছে না। ফলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান বড় কোনও অঘটন.না ঘটলে একুশে নির্ধারিত সময়েই হবে বাংলার ভোট। সেক্ষেত্রে আর মাত্র ছ’মাস বাকি থাকবে বাংলায় ভোট হতে।