
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি নামে রাজস্থানের এক আঞ্চলিক দলের দুই বিধায়ক একসময় কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন। পরে তাঁরা সমর্থন তুলে নেন। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট দাবি করলেন, ওই দুই বিধায়ক ফের তাঁদের সমর্থন করছেন। হিন্দিতে টুইট করে তিনি বলেন, “বিটিপি-র দুই বিধায়ক ঘোষণা করেছেন, তাঁরা কংগ্রেসের পক্ষে আছেন।” দুই বিধায়ক তাঁদের সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসকে।
এই দুই বিধায়কই কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে জানান, তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটি বিলাসবহুল হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। ওই হোটেলে অশোক গেহলোট তাঁর অনুগামীদের রেখেছিলেন।
দুই বিধায়ক যদি কংগ্রেসের বিরোধিতা করতেন, তাহলে কংগ্রেস সরকার আরও মুশকিলে পড়ত সন্দেহ নেই। বিদ্রোহীদের নেতা শচীন পাইলট দাবি করেছেন, ৩০ জন বিধায়ক তাঁকে সমর্থন করছেন। সেকথা সত্যি হলে অশোক গেহলোটের সরকারের পতন ঘটতে দেরি হবে না। ২০০ আসনবিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় গরিষ্ঠতা পেতে হলে চাই ১০১ জন বিধায়ক। অশোক গেহলোটের দাবি, তাঁর পক্ষে আছেন ১০৯ জন বিধায়ক।
রাজস্থানে গত কয়েকদিনে বার বার বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট অভিযোগ করেন, শচীন পাইলট নিজে বিধায়ক কেনাবেচায় জড়িত। অবশ্য শুক্রবার রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ে অবশ্য শচীন ও তাঁর অনুগামীরা স্বস্তি পেয়েছেন।
হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার অবধি শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না স্পিকার সি পি যোশী। বিদ্রোহীদের কেন ডিসকোয়ালিফাই করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছিলেন স্পিকার। নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছিল শুক্রবারের মধ্যে।
রাজস্থানে রাজনৈতিক সংকট নিয়ে এদিন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। তাঁর মতে, রাজ্যে যেরকম অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ছাড়া উপায় নেই। অশোক গেহলোটের তীব্র সমালোচনা করে মায়াবতী বলেন, তিনি আমাদের ঠকিয়েছেন। আমাদের বিধায়কদের নিয়েছেন কংগ্রেসে। তিনি দলত্যাগবিরোধী আইন ভেঙেছেন।
এদিন কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। তাঁর কথায়, “দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হল, কংগ্রেসীরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে আর তার জন্য মূল্য দিতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে।” এর মধ্যে রাজস্থানে বিজেপির সহযোগী রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির এমপি হনুমান বেনিওয়াল অভিযোগ করেন, বসুন্ধরা রাজে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটকে সাহায্য করছেন। তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ককে ডেকে নাকি বলেছেন, তাঁরা যেন অশোক গেহলোটকে সমর্থন করেন।