
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একটা বিষয় হয়তো অনেকেই নজর করেননি। মন্ত্রিসভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা কিন্তু গ্রহণ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং মুখ্যমন্ত্রীর তরফে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে বার্তা গিয়েছে তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হোক।
তার পর আধ ঘন্টার বিরতি। বালির বিধায়ক তথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।
লক্ষ্মীরতন শুক্লও সৌরভের স্নেহভাজন। লক্ষ্মী যেদিন মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, সেদিন বৈশালী বলেছিলেন, উইপোকার মতো কেউ কেউ দলকে কুরে খাচ্ছে। আজ রাজীবের ইস্তফার পর বৈশালী বলেন, ও সব দেখে বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূলে এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা…
তার পরই অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন, বৈশালীও হয়তো চাইছেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হোক।


তৃণমূল সেটাই করল। অর্থাৎ বৈশালীর ইচ্ছাপূরণ করল। তাঁকে শুক্রবার বিকেলে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।
এখন কী করবেন, কী বলবেন?
এমনিতেই খুব খোলামেলা ভাবে তৃণমূলের সমালোচনা করছিলেন বৈশালী ডালমিয়া। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, ৩১ জানুয়ারি হাওড়ায় অমিত শাহর সভায় রাজীব, বৈশালী এক সঙ্গেই বিজেপিতে সামিল হবেন। সেই সঙ্গে হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বিজেপিতে সামিল হতে পারেন বলেই খবর।
প্রশ্ন হল, বৈশালীকে কেন বহিষ্কার করল তৃণমূল?
দলের এক নেতা ঘরোয়া আলোচনায় বলেন, দলের মধ্যে থেকে বৈশালী যে ভাবে তৃণমূলের সমালোচনা করছিলেন, তাতে ক্ষতি হচ্ছিল। এঁরা যখন যাবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন, তখন এঁদের সঙ্গেও আর খাতির করে লাভ নেই। তাতে দলের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। তা ছাড়া তৃণমূল ছেড়ে কেউ বিজেপিতে গেলেন—বলার মধ্যে যে ব্যাপারে রয়েছে, তার থেকে ‘তাড়িয়ে দেওয়া হল’র মধ্যে গুণগত ফারাক রয়েছে। এতে দলের নিষ্ঠাবান কর্মীরা খুশিই হবেন।