
দ্য ওয়াল ব্যুরো পশ্চিম মেদিনীপুর: বেশ কয়েকদিন আগেই আলাপ হয়েছিল। তবে বিশ্বাসযোগ্য জায়গায় পৌঁছে গিয়ে ছিল প্রেম। তাই সতেরোর কোটায় থাকা কিশোরী মন বুঝতে পারেনি নতুন প্রেমিকের কুচক্রান্তের কথা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়াতে কোনওই সন্দেহ হয়নি কিশোরীর মনে। কিন্তু প্রেমিকের ডেরায় ঢুকতে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় আদিবাসী ওই কিশোরী। প্রেমিকাকে বাগে পেতেই রাতভর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এমনকী প্রেমিকের বন্ধুরাও তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা অন্তর্গত রসলপুর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর কিশোরীর পরিবার ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবক ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাই বুধবার কিশোরীকে মেডিক্যালে টেস্টের জন্য মেদিনীপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়ে ছিল। এদিকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়ে ছিল। পাঁচজনকে পুলিশের হেফাজতে রাখা নির্দেশ দেন বিচারক।
কিশোরী ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ”বেশ কিছুদিন আগেই ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়ে ছিল আদিবাসী ওই কিশোরীর। দাঁতনের রাজনগর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক বিয়ে করবে বলে বাড়ি থেকে ফুসলিয়া তাকে নিয়ে গিয়ে ছিল। যুবকের কাছে পৌঁছতেই রীতিমত ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখ হয় ওই কিশোরী। প্রেমিক সহ আরও চার যুবক তাকে গণধর্ষণ করে।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার সকালে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে ছাড়তে যায়। বাড়িতে পৌঁছতেই কিশোরী তার পরিবারের কাছে ওই যুবকদের কুর্কীতির কথা ফাঁস করে দেয়। তাতে এলাকার মানুষরা দু’জন যুবককে আটকে রেখে বেলদা থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে এবং ঘটনাটি দাঁতন থানা এলাকায় ঘটার ফলে ওই দুজন যুবককে দাঁতন থানাকে হস্তান্তর করে। এরপর সোমবার সারারাত তল্লাশি চালিয়ে মূল অভিযুক্ত প্রেমিক সহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করে দাঁতন থানার পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় জানান, ”ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”