
দ্য ওয়াল ব্যুরো : আমি এমিলিকে বলেছি, তোমার টিম নিয়মমাফিক কাজ করুক। আমি সহযোগিতা করব। সোমবার এমনই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমিলি মারফি হলেন আমেরিকার জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনস্ট্রেশনের প্রধান। আগামী জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। সেজন্য এখন থেকেই রদবদল শুরু হয়েছে মার্কিন প্রশাসনে। এমিলি মারফি আছেন সেই রদবদলের দায়িত্বে। ট্রাম্প এতদিন স্বীকারই করতে চাননি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। কিন্তু এমিলির সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলে তিনি প্রথমবার ইঙ্গিত দিলেন, পদ ছাড়তে তৈরি হচ্ছেন।
নিয়মমতো এরপর বাইডেন ও তাঁর টিমের অন্যান্য সদস্য নানা সরকারি দফতরের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনীয় সরকারি নথিপত্র দেখবেন। এমিলি মারফি সম্প্রতি বাইডেনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, “ভোটের ফলাফল নিয়ে মামলা হয়েছে। কিন্তু আপনি যদি চান, এখনই সরকারি নথিপত্র দেখতে পারেন।”
ইওহান্নিস আব্রাহাম নামে মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, এমিলি নতুন প্রেসিডেন্টের টিমকে সরকারি নথিপত্র দেখতে না দিলে করোনা অতিমহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে অসুবিধা হবে। খুব শীঘ্রই বাইডেনের টিমের সদস্যরা ফেডারেল প্রশাসনের অফিসারদের সঙ্গে বসে জানতে চাইবেন, অতিমহামারীর মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে।
ইতিমধ্যে বাইডেন তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়োগ করা শুরু করেছেন। সোমবার ভারতীয় সময়ের রাত ১১ টা নাগাদ হোয়াইট হাউজের পোস্টে ঘোষণা করা হয়, পরবর্তী মার্কিন বিদেশ সচিব হচ্ছেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। একইসঙ্গে জানানো হয়, এই প্রথম একজন মহিলা আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান (ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টালিজেন্স) হতে চলেছেন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ থেকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি সহ ডজন খানেক ফেডারেল অফিস থাকবে তাঁর অধীনে। এর আগে ওবামা প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনি বিষয়আশয় দেখতেন এভ্রিল। সিআইএ-র ডেপুটি ডিরেক্টরও ছিলেন।

আমেরিকায় নাইন ইলেভেনের জঙ্গি হানার পর ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টালিজেন্স তথা ডিএনআই পদটি তৈরি করা হয়েছিল। মূলত সবকটি গোয়েন্দা এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য এই পদ ও দফতর তৈরি হয়। এখানে বলে রাখা ভাল, এই ডিএনআই-য়ের ধাঁচেই ভারতে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি তথা এনআইএ তৈরি হয়েছিল।
মন্ত্রিসভার বাকি গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের নামও এদিন ঘোষণা করেছেন বাইডেন। যেমন পরবর্তী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হবেন জেক সুলিভান। রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন দূত করা হবে লিন্ডা টমাসকে। তা ছাড়া হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের দায়িত্ব পাবেন আলেজান্দ্রো মায়োরকাস এবং জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে জন কেরিকে।