
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মণীশ শুক্ল খুনের প্রতিবাদে রবিবার রাতেই বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সোমবার সকাল থেকেই ব্যারাকপুর মহকুমা জুড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে পড়েন। তারপর দিনভর নৈহাটি থেকে টিটাগড়– বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তায় দফায় দফায় অবরোধ, বিক্ষোভে দিনভর উত্তপ্ত রইল।
কাঁকিনাড়া পানপুর মোড়ে বিজেপির অবরোধ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এদিন। রাস্তার মাঝে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় টায়ার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। অবরোধ তুলতে গেলে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।
শ্যামনগর, পলতা, ইছাপুর, ব্যারাকপুর, টিটাগড়– সর্বত্রই অবরোধ হয় এদিন। বহু এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। দুপুর পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি থমথমে। একাধিক জায়গায় বঁটি, কাঁটারির মতো অস্ত্র নিয়েও বিজেপি কর্মীরা মিছিল.করেছেন বলে অভিযোগ।
বেলা তিনটে নাগাদ খবর, নিহত বিজেপি নেতার ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সন্ধে ছ’টা নাগাদ তাঁর দেহ আসার কথা বাড়িতে। বিজেপি ঠিক করেছে, বাড়ি থেকে দেহ বের করে নিয়ে মণীশ যে দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন সেখানে মিছিল করবে। যদিও এ ব্যাপারে প্রশাসন অনুমতি দেবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিজেপির এক নেতা বলেন, প্রশাসন অনুমতি না দিলেও মানুষ তাঁদের প্রিয় নেতার দেহ নিয়ে শেষ যাত্রা করবেনই। তিনি আরও বলেন, পানিহাটির চেয়ারম্যান কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। সমস্ত বিধি উড়িয়ে সেই দেহ নিয়ে মিছিল করেছিল তৃণমূল। তার বেলায় প্রশাসন কোথায় ছিল?
প্রসঙ্গত, বিদায়ী পৌরবোর্ডে মণীশ শুক্ল দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। একটিতে জিতেছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। অন্যটিতে নির্দল প্রার্থী হিসাবে। মণীশ যেহেতু ব্যারাকপুর কোর্টের আইনজীবী ছিলেন তাই সেখানেও তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়ার কথা। তারপর নিহত নেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবেন।
রবিবার রাতে টিটাগড়ে বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে গুলি করা হয় মণীশকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিন সকালে নিহত নেতার বাড়িতে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এনআরএস হাসপাতালে পৌঁছন অরবিন্দ মেনন। বিজেপি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।