
দ্য ওয়াল ব্যুরো : রাজস্থানের ২১ টি জেলায় পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের নির্বাচন হয়েছিল নভেম্বরের ২৩ ও ২৭ এবং ডিসেম্বরের ১ ও ৫ তারিখে। গত ৮ ডিসেম্বর তার গণনা হয়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যে ফলাফল জানা গিয়েছে, তাতে দেখা যায়, এগিয়ে আছে বিজেপি। মোট ৪৩৭১ টি পঞ্চায়েত সমিতি আসনে ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে ১৮৩৫ টিতে ইতিমধ্যে জয়লাভ করেছে বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছে ১৭১৮ টি আসনে। এছাড়া জিতেছেন ৪২০ জন নির্দল প্রার্থী। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থীরা জিতেছেন ৫৬ টি আসনে।
জেলা পরিষদের ৬৩৬ টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। তার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৬৬ টি। কংগ্রেস পেয়েছে ২০৪ টি। মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গণনা এখনও চলছে।
মঙ্গলবার রাতে ফতেপুর থানা অঞ্চলে এক প্রার্থীর সমর্থকরা বিজয় মিছিল বার করেছিলেন। তখন দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষে একজন খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কানহাইয়া লাল। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টঙ্ক পঞ্চায়েত সমিতিতে কোনও দলই গরিষ্ঠতা পায়নি। বিজয়ী তিন নির্দল প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা টঙ্কের বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটকে সমর্থন করেন। কংগ্রেসকে বোর্ড গড়তে তাঁরা সাহায্য করবেন। টঙ্ক পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন আছে ১৯ টি। তার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ন’টি, কংগ্রেস সাতটি এবং নির্দলরা পেয়েছেন তিনটি। বিজয়ী নির্দল প্রার্থী হংসদেবী গুজ্জরের স্বামী রামলাল গুজ্জর জানিয়েছেন, তাঁরা কংগ্রেসকে বোর্ড গড়তে সাহায্য করবেন।
বুধবার বিজয়ী বিজেপি প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “বিজেপি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের জন্যই জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে এতগুলি আসন পাওয়া সম্ভব হয়েছে।”
রাজস্থানের ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বসুন্ধরা বলেছেন, “কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচারে না ভুলে তাঁরা বিজেপির ওপরে আস্থা রেখেছেন।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেন, “পঞ্চায়েত রাজের ভোটে পরিষ্কার, দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের পতন ঘনিয়ে এসেছে।” তাঁর মতে, গ্রামের মানুষ বিজেপির ওপরে আস্থা রেখেছেন। বিজেপির সংগঠনিক শক্তির জন্যই এই বিজয় সম্ভব হয়েছে।
রাজস্থানে জেলা পরিষদের ভোটে প্রার্থী ছিলেন ১৭৭৮ জন। পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী ছিলেন ১২৬৬৩ জন।