
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ফেব্রুয়ারির শুরুতে মুম্বইতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জানা যায়, তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতা। কংগ্রেসের মুখপাত্র শচীন সাওয়ান্ত বিজেপিকে বিদ্রুপ করে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে বিজেপি কর্মীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন?
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত অনুপ্রবেশকারীর নাম রুবেল শেখ। সে জাল নথিপত্র নিয়ে ভারতে বাস করছিল। আসলে সে বাংলাদেশের নাগরিক। কংগ্রেসের মুখপাত্র টুইট করে বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি, উত্তর মুম্বইতে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রধান ছিলেন একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। বিজেপির কাছে জানতে চাই, একে কি সঙ্ঘ জেহাদ বলা যেতে পারে? বিজেপি কর্মীদের জন্য সিএএ-তে কি আলাদা ধারা আছে? সারা দেশের জন্য একরকম আইন আর বিজেপির জন্য কি অন্যরকম আইন প্রযোজ্য হবে?”
শনিবার বিজেপির সাংসদ গোপাল শেট্টির সঙ্গে রুবেল শেখের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সাংসদ অবশ্য বলেছেন, “রুবেল শেখকে আমাদের সংখ্যালঘু সেলে নেওয়া হয়েছিল। সে আমার সঙ্গে একটি ছবি তোলে। কেউ যদি ভুল করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দেশ জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তখন দেশ জুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন দানা বেঁধেছিল। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রশ্নটি বারবার সামনে এসেছিল। দেখা গিয়েছিল, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে উদ্বেগও কাজ করছে। তাতে রাজনৈতিক ইন্ধন ছিল।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগরে জনসভায় অমিত শাহ বলেন, “মুসলমান ভাইদের বলছি, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। এই পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে এ কথা বলে যাচ্ছি। কারণ ওই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে। তা কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। এই যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে, তা শুনবেন না।”
অমিত শাহ ঘোষণা করেন, কোভিডের টিকাকরণ শেষ হলেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, “এখানে মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজের লোক রয়েছেন। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হয়ে এসেছিলেন। দেশ ভাগের পর কংগ্রেসের নেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, সম্মান দেওয়া হবে। উনিশের ভোটে আমরা বলেছিলাম, বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমরা মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেব। উনিশ সালে জিতেছি। বিশ সালেই নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ করিয়েছি”।