
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ বম্বে হাইকোর্ট থেকে জানান হল অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের অবর্তমানে তাঁর অফিস ভেঙে ফেলা, আসলেই বেআইনি। বিএমসি এধরনের কাজ করতে পারে না। তাই বিএমসির কাজ বন্ধ করার আদেশ দিলেন তারা। এমনকি বাঙলো যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ অভিনেত্রীকে দেওয়ার আদেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কঙ্কনাকেও আরও সংযম দেখাতে বলেছে তারা।
৯ সেপ্টেম্বর বৃহৎ মুম্বই পুরসভা অভিনেত্রীর বাঙ্গলো ও তাঁর অফিসের একটা বড় অংশ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে। জানা যায় সে সময় কঙ্গনা মুম্বাইতে ছিলেন না। তাঁরা জানান বাঙ্গলোর ত্রুটি সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁরা প্রশ্ন করেছিলেন। উত্তরের জন্য ২৪ঘণ্টা সময়ও অভিনেত্রীকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিনেত্রীর কাছ থেকে যথাযথ উত্তর না পাওয়ায় তারা নিজে থেকেই ভাঙার কাজ শুরু করে।
বিএমসি জানায় কঙ্গনার বান্দ্রার পলি হিলের বাড়ির অফিস বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। ১৪টি কাঠামোগত ত্রুটি তারা বের করেছে। তারা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সেই ত্রুটির কথা। যেমন যেখানে রান্নাঘর থাকার কথা সেখানে টয়লেট তৈরি করেছেন, অন্যদিকে টয়লেটের জায়গায় তাঁর অফিস ঘর তৈরি করেছেন। এভাবেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন বৃহন্মুম্বই পুরসভা। এমনকি ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে।
অন্যদিকে কঙ্গনার মতে সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাওয়ার পর তিনি অনেকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বলেই তাঁর উপর সবার এত রাগ। মুম্বাইতে তিনি সুরক্ষিত নন, এবং এই শহরকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করায় তাঁর প্রতি শিবসেনার আক্রোশ জমে। ফলস্বরূপ তাঁর সঙ্গে এভাবে আচরণ করা হচ্ছে। তারপরেই কঙ্গনা-শিবসেনা সংঘাত চরমে পৌঁছে যায়। এমনকি অভিনেত্রী জানান শিবসেনার গুন্ডারা তাঁকে ধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। কঙ্গনার মতে বিএমসি শিবসেনার কথা শুনেই চলে। মুখে নাম না নিলেও স্বাভাবিকভাবে এটা যে শিবসেনাদের কাজ স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা।