
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বিহারে ভোটের পর কংগ্রেসের মধ্যে ক্রমশ দানা বাঁধছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সোমবারই দলের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল নেতৃত্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। বুধবার দলের অপর শীর্ষস্থানীয় নেতা পি চিদম্বরমও মুখ খুললেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে বিহারে বিধানসভা ভোট ও কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনে দেখা গেল, হয় কংগ্রেসের কোনও সংগঠন নেই অথবা থাকলেও তা রীতিমতো দুর্বল হয়ে পড়েছে।
একটি সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে চিদম্বরম বলেন, বিহারে কংগ্রেসের আরও বেশি আসনে লড়াই করা উচিত ছিল। তাঁর কথায়, “আমি গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বেশি চিন্তিত। মনে হচ্ছে, ওই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের কোনও সংগঠন নেই। কিংবা থাকলেও তা দুর্বল হয়ে পড়েছে।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ন, করোনা সংকট ও আর্থিক মন্দার মতো জোরালো ইস্যু পেয়েও কংগ্রেস তা কাজে লাগাতে পারল না কেন?
বিহারের ভোট সম্পর্কে তিনি বলেন, “সেখানে আরজেডি-কংগ্রেস জোটের জেতার সম্ভাবনা ছিল। জয়ের কাছাকাছি এসেও আমরা হেরে গিয়েছি। কেন এমন হল ভেবে দেখা দরকার।” তিনি মনে করিয়ে দেন, কিছুদিন আগেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় ও ঝাড়খণ্ডের ভোটে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস।
চিদম্বরমের মতে, বিহারের ভোট প্রমাণ করেছে, সিপিআই এম এল বা এআ এমআইএমের মতো ছোট দলও তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে তুলতে পারে। তাই তারা ভোটে ভাল ফল করেছে। তাঁর কথায়, “বিজেপি জোট যতগুলি আসন পেয়েছে, বিরোধীরাও ততগুলিই পেতে পারত। কিন্তু সেজন্য তাদের তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে তুলতে হত।”
বিহারের ভোট সম্পর্কে তিনি বলেন, “কংগ্রেসকে মাত্র ২৫ টি আসন দেওয়া হয়েছিল। ওই আসনগুলিতে বিজেপি এবং তার শরিকরা গত ২০ বছর ধরে জিতে আসছে। কংগ্রেসের উচিত ছিল ওই আসনগুলি থেকে লড়তে অস্বীকার করা। আমাদের অন্তত ৪৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত ছিল।”
আগামী বছরেই কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে ভোট হবে। চিদম্বরম বলেন, দেখা যাক ওই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস কেমন ফল করে।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এবার দলের শীর্ষপদের জন্য গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কাউকে বেছে নেওয়া উচিত। এসম্পর্কে প্রশ্ন করলে চিদম্বরম বলেন, “এআইসিসি কাকে সভাপতি হিসাবে বেছে নেবে আমি জানি না। তবে যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।”