
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ধর্ষণ হোক বা যৌন নিগ্রহ, মহিলাদের উপর অপরাধের প্রবণতায় বারবার শিরোনামে উঠে আসে উত্তরপ্রদেশ। সরকারের তরফে আইনি কড়াকড়ির কথা বলা হলেও সেই প্রবণতা কমেনি। এদিন ফের তেমনই এক ঘটনার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল যোগী রাজ্যে।
প্রসবের সময় প্রসূতি মহিলার শ্লীলতাহানি করেছেন ডাক্তার, এদিন উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে উঠেছে এমনই এক অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ডাক্তারের গাফিলতিতে ওই মহিলার প্রাণ সংশয়ও হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তাঁর পরিবারের তরফ থেকে। বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রসূতি মহিলার স্বামী। ঘটনা জানাজানি হতেই নিন্দায় সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গেছে, বরেলীর গঙ্গাশীল হাসপাতালের একজন মহিলা ডাক্তার এবং পুরুষ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রসূতির স্বামী। প্রেমনগর থানায় অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ডাক্তারের নাম শালিনী মহেশ্বরী। ইন্ডিয়ান মেডিকেল কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত হয়েছেন ওই হাসপাতালেরই আরও এক পুরুষ কর্মী।
জানা গেছে, গত ২১ মার্চ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বরেলীর গঙ্গাশীল হাসপাতালে ভর্তি হন ওই মহিলা। ঠিক ছিল, ডঃ মহেশ্বরীই তাঁর ডেলিভারি করাবেন। কিন্তু অভিযোগ, প্রসবের সময় তাঁকে বারবার ডাকা হলেও তিনি আসেননি। উল্টে হাসপাতালের এক পুরুষ কর্মচারী এসে ওই মহিলার ডেলিভারি করান। এই ব্যক্তিকে ‘অপ্রশিক্ষিত’ বলেও দাবি করেছেন প্রসূতির স্বামী।
পুরুষ ওই কর্মীর বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। গাফিলতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন মহিলা ডাক্তার। জানা গেছে, প্রসবের সময় এই ধরণের গাফিলতির ফলে প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। দুদিন পর তাঁকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই ওই মহিলা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সূত্রের খবর, প্রসূতি মহিলা এবং তাঁর স্বামী দুজনেই ডাক্তার। হাসপাতালে এহেন অব্যবস্থা কেন থাকবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআরের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।