
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বুধবার সাতজন নতুন মন্ত্রী যোগ দেন কর্নাটকের বি এস ইয়েদুরাপ্পা মন্ত্রিসভায়। তার পর থেকেই রাজ্য বিজেপিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপির একাধিক নেতা অভিযোগ করছেন, যাঁরা একটি সিডি নিয়ে ইয়েদুরাপ্পাকে ব্ল্যাকমেল করেছিলেন, কেবল তাঁরাই মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। আরও কয়েকজন ইয়েদুরাপ্পাকে বিপুল অর্থ দিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। অভিযোগকারীদের পালটা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, তাঁরা যেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর নামে অভিযোগ করেন।
বেঙ্গালুরুতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি বিধায়কদের কারও যদি ক্ষোভ থাকে, তিনি দিল্লি গিয়ে জাতীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তাঁদের কাছে অভিযোগ জানিয়ে প্রমাণপত্র পেশ করতে পারেন। আমি তাতে আপত্তি করব না। কিন্তু অভিযোগকারীরা যেন দলের বদনাম না করেন।”
কর্নাটকের প্রবীণ বিজেপি নেতা বাসনাগৌড়া আর পাতিল অভিযোগ করেন, “যাঁরা একটি সিডি নিয়ে ইয়েদুরাপ্পাকে ব্ল্যাকমেল করেছেন অথবা তাঁকে বিপুল অর্থ দিয়েছেন, কেবল তাঁদেরই মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে।” বাসনাগৌড়ার অভিযোগ, নতুন মন্ত্রীদের বেছে নেওয়ার সময় দলের প্রতি আনুগত্য, জাত বা এলাকার কথা বিবেচনা করা হয়নি। কয়েকজন একটি সিডি দেখিয়ে বলেছিলেন, তাঁদের মন্ত্রী না করলে ইয়েদুরাপ্পা সরকার ফেলে দেবেন। কেবল তাঁদেরই মন্ত্রী করা হয়েছে।
বাসনাগৌড়া বাদে অপর যে বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন, তাঁরা হলেন এইচ বিশ্বনাথ, করুণাস্বামী, সতীশ রেড্ডি, শিবানন্দগৌড়া নায়ক থিপ্পারেড্ডি এবং রেণুকা আচারিয়া। বুধবার যাঁদের মন্ত্রী করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন এম টি বি নাগরাজ, উমেশ কাট্টি, অরবিন্দ লিম্বাভালি, মুরুগেশ নিরানি, আর শংকর, সি পি যোগেশ্বর এবং অঙ্গারা এস। তাঁদের মধ্যে উমেশ কাট্টি, অরবিন্দ লিম্বাভালি এবং মুরুগেশ নিরানি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
নাগরাজ এবং যোগেশ্বর কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর শংকর নির্দল বিধায়ক হিসাবে আগের কংগ্রেস-জেডিএস সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন।
এর আগের সরকারের ১৭ জন বিধায়ক বিদ্রোহ করেছিলেন। ফলে সরকার পড়ে যায়। তখন ক্ষমতায় আসেন ইয়েদুরাপ্পা। রবিবার তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়।
বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা যাওয়ার পরে সরব হয়েছেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। তিনি বলেন, ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি টুইট করে বলেন, ‘বিজেপি এখন ব্ল্যাকমেলার্স জনতা পার্টি হয়ে উঠেছে। বিজেপি নেতারাই অভিযোগ করছেন, কয়েকজন নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে এবং ঘুষ দিয়ে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন।’