
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠে নজির গড়লেন মধ্যপ্রদেশের ১০৩ বছরের বৃদ্ধা। শুধু বার্ধক্যই নয়, তাঁর শারীরিক লড়াইয়ের আরও একটা শত্রু ছিল ক্যানসারের মতো মারণ রোগও। জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি অনেক বছর ধরে। সব প্রতিকূলতার পরেও ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থেকে সেরে উঠলেন খরগাঁও জেলার বারওয়া শহরের বাসিন্দা এই বৃদ্ধা, রুক্মিনী চৌহান।
জানা গেছে, জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই নানা উপসর্গ দেখা গিয়েছিল বৃদ্ধার এর পরে ২১ তারিখে করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তেমন মারাত্মক কোনও অসুস্থতা বা উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার কথা বলেন তাঁরা। গত ৫ বছর ধরে তিনি ক্যানসারেও ভুগছিলেন। এই অবস্থায় হাসপাতালে গেলে ঝুঁকি আরও বাড়তে পারত বলে আশঙ্কা করেন চিকিৎসকরা।
গত মাসে বৃদ্ধার নাতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। অনুমান, তাঁর থেকেই আক্রান্ত হন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু ১৪ দিন বাড়িতে আইসোলেশনে ও চিকিৎসায় থেকে সেরে উঠেছেন তিনি। আজ, সোমবার তাঁর করোনা রিপোর্ট দ্বিতীয় বারের জন্য নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্যকর্তা অনুজ কারখুর বলেছেন, “রুক্মিণী চৌহান বিশ্বের সবেচেয়ে বৃদ্ধ করোনা মুক্ত ব্যক্তি। গত ২১ জুলাই তাঁর সংক্রমণ ধরা পড়ে। কিন্তু তাঁর কোনও উপসর্গ ছিল না। তাই বাড়িতেই পৃথক ঘরে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়। যেহেতু উনি শতায়ু এবং জরায়ুর ক্যান্সারে ভুগছেন, তাই বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাঁকে।”
পরিবার সূত্রের খবর, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা এসে অক্সিজেনের মাত্রা দেখে গিয়েছেন নিয়ম করে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরা কিছু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাও করিয়েছেন বৃদ্ধার। শেষমেশ পরপর দু’বার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বৃদ্ধার।
১০৩ বছরের রুক্মিনী চৌহানের আগেও মে মাসে ইনদোরে সেরে উঠেছিলেন ৯৫ বছরের এক বৃদ্ধাও।