
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বকেয়া ইএমআই-এর গ্রাহকদের সুদ দিতে হবে কি হবে না তা সাত দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে জানাবে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ব্যাপারে একটি মামলার শুনানিতে আজ সরকারের তরফে আদালতে তা জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে এও জানানো হয়েছে, দু’-তিন দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে প্ল্যান চুড়ান্ত করে ফেলা হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ায় নির্দিষ্ট মেয়াদের ঋণের উপর মোরাটোরিয়াম ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। তাতে বলা হয়েছিল, কোনও গ্রাহক চাইলে তিন মাস ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা স্থগিত রাখতে পারেন। পরে মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কিস্তির টাকা দেওয়া বন্ধ করলে বকেয়া আসল ও সুদ উভয়ের উপরেই ওই মেয়াদের জন্য সুদ দিতে হবে।
ব্যাঙ্কগুলির এই অবস্থানের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এ ব্যাপারে আজই সরকারের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আজ কেন্দ্রীয় সরকারকে এ জন্য আরও সাতদিন সময় দিয়েছে। কোভিডের বাজারে গ্রাহক তথা ঋণ গ্রহীতাদের সুরাহা দেওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সাত দিনের মধ্যে পরিকল্পনা পেশ করতে হবে মোদী সরকারকে। এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানি হতে পারে ৫ অক্টোবর।
তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল, সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা আজ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যে প্ল্যান চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
এই মামলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে জানিয়েছিল, গ্রাহকদের কাছে কী পরিমাণে চক্রবৃদ্ধি সুদ নেওয়া হচ্ছে তা আদালতে জানাতে হবে। এর প্রভাবই বা গ্রাহকদের উপর কী ভাবে পড়ছে তাও জানাতে হবে। তা ছাড়া এতে গ্রাহকদের ক্রেডিং রেটিং কমে যাচ্ছে কিনা আদালতে স্পষ্ট করতে হবে সরকারকে।
পরে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এও নির্দেশ দেয় যে, যে সব গ্রাহক মোরাটোরিয়ামের সুযোগ নিয়েছেন, তাঁরা ফেরত দিতে আরও সময় নিলে তাকে ব্যাড লোন বলা যাবে না।
এই পরস্থিতিতে সামগ্রিক বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কম্পট্রোলার অব অডিটরস জেনারেল রাজীব মিশ্রির নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এদিন আদালতে সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সরকার প্ল্যান তৈরি করছে।
সরকারের এই অবস্থানকে অনেকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন। তাঁরা আশা করছেন, সরকার কিছু না কিছু সুরাহা দিতে পারে গ্রাহকদের।