
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে এক বেসরকারি হাসপাতালের বাইরে একটি তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, অপারেশনের পরে সেলাই না করেই শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের সামনেই শিশুটি যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মারা যায়। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। পৃথকভাবে তদন্ত করছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস।
শিশুটির ছবি সমেত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, শিশুটির নাকে একটি পাইপ লাগানো রয়েছে। সে যন্ত্রণায় ছটফট করছে। তার বাবা উত্তেজিত হয়ে ব্যাখ্যা করছে, কী হয়েছিল।
একটি সূত্রে খবর, ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, যদি চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ইউনাইটেড মেডিসিটি হাসপাতাল ও তার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মৃত শিশুর বাবা-মা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল তাঁদের থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। তাঁরা সেইমতো অর্থ দিয়েছিলেন। কিন্তু অপারেশনের পর সেলাই না করেই শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার সমর বাহাদুর বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শিশুকন্যাটিকে ১৬ ফেব্রুয়ারি এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। পরে তাকে রেফার করা হয় এসআরএম হাসপাতালে। কিন্তু তার বাবা-মা তাকে চিলড্রেনস হসপিটালে নিয়ে যান। সেই হাসপাতালেও মেয়েটির চিকিৎসা হয়। পরে তাকে ফের আনা হয় আগের হাসপাতালে। সেখানে সে মারা যায়। আমরা তার দেহের ময়না তদন্ত করিয়েছি।”
মেয়েটির বাবা বলেন, “আমরা হাসপাতালের চাহিদামতো টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু চিকিৎসক বলেন, আমার কিছু করার নেই। তিনি আমার মেয়েকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে দেন। ডাক্তার যা চেয়েছেন, আমরা তাই দিয়েছি। তিনি তিনবার রক্ত দিতে বলেছিলেন। আমরা দিয়েছি।”
একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, মেয়েটির বাবা দেখাচ্ছেন, শিশুটির শরীরে অপারেশনের ক্ষত। তার ওপরে মাছি বসছে। আর একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, মৃত শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা-মা দাঁড়িয়ে আছেন হাসপাতালের গেটে।
মেয়েটির পরিবার খুবই গরিব। তারা কৌশাম্বি জেলায় থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃত্যুর তিন দিন আগে মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।