
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শঠেশাঠ্যং বোধহয় একেই বলে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে হেরে যাওয়ার মুখে যখন খেপে আগুন হয়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, একের পর এক মামলা ঠুকছেন আদালতে, পথে নেমে তাণ্ডব চালাচ্ছেন তাঁর কর্মী সমর্থকরা, তখন ১৭ বছরের গ্রেটা থুনবার্গ টুইট করে ‘চিল’ করতে বললেন ট্রাম্পকে। পরামর্শ দিলেন, এত রাগ কমানোর ব্যাপারে কিছু করা উচিত ট্রাম্পের।
এ যেন কাটা ঘায়ে খানিক নুনের ছিটে। এ নুন অবশ্য অনেকেরই খুব চেনা। কারণ গ্রেটার আজকের টুইট মনে করিয়ে দিচ্ছে, বা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, ট্রাম্পেরই ভাষায় ট্রাম্পকে বিঁধেছেন তিনি। সে কথা মনে করতে খানিক পিছনে হাঁটতে হবে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে গ্রেটা থুনবার্গের অগ্নিদৃষ্টি অনেকেরই মনে থাকবে। বক্তৃতা করার সময়েও ১৭ বছরের গ্রেটা সরাসরি বিঁধেছিল ট্রাম্প-সহ তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের। বলেছিল, “পৃথিবীর জলবায়ু ধ্বংস করার জন্য আপনারাই দায়ী।”
এই স্পর্ধা অবশ্য ভাল চোখে নেননি ট্রাম্প। এর পরে টাইম ম্যাগাজিন গ্রেটাকে তারুণ্যের মুখ করে। তার পরেই তিনি গ্রেটাকে ব্যঙ্গ করে টুইট করেছিলেন, “কী হাস্যকর! নিজের রাগের সমস্যা মেটানোর জন্য গ্রেটার কিছু করা উচিত। তার পরে ওর বন্ধুদের সঙ্গে ভাল একটা পুরনো সিনেমা দেখতে যাওয়া উচিত। চিল গ্রেটা, চিল!”
So ridiculous. Greta must work on her Anger Management problem, then go to a good old fashioned movie with a friend! Chill Greta, Chill! https://t.co/M8ZtS8okzE
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) December 12, 2019
এর পর থেকেই বৃদ্ধ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিশোরী গ্রেটার তিক্ততা প্রায় সর্বজনবিদিত।
গ্রেটাকে শান্ত হতে বলার পরে ঠিক একটা বছর ঘুরেছে। ২০২০ সালের নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট ইলেকশন আমেরিকায়। ট্রাম্পের সেই ব্যঙ্গই টুইট করে ফের ট্রাম্পকেই ফিরিয়ে দিল গ্রেটা। ‘ভোটচুরি’র অভিযোগ নিয়ে প্রায় সুকুমার রায়ের কবিতার হেড অফিসের বড়বাবুর মতোই যখন খেপে উঠেছেন ট্রাম্প, গ্রেটা তাঁকে বলল ‘চিল ট্রাম্প, চিল!’
গ্রেটার টুইটের ভাষা একেবারেই এক। সে লিখেছে, “কী হাস্যকর! নিজের রাগের সমস্যা মেটানোর জন্য ডোনাল্ডের কিছু করা উচিত। তার পরে ওর বন্ধুদের সঙ্গে ভাল একটা পুরনো সিনেমা দেখতে যাওয়া উচিত। চিল ডোনাল্ড, চিল!”
So ridiculous. Donald must work on his Anger Management problem, then go to a good old fashioned movie with a friend! Chill Donald, Chill! https://t.co/4RNVBqRYBA
— Greta Thunberg (@GretaThunberg) November 5, 2020
গ্রেটার এই টুইট হু হু করে ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে। ট্রাম্পের আসল টুইট যা ছিল, তার কয়েক গুণ বেশি সংখ্যায় লাইক পেয়েছে গ্রেটার এই পাল্টা টুইট। কেউ লিখেছেন, সময়ই সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ। কেউ আবার লিখেছেন, কর্মফল কখনও মিথ্যা হয় না।