
পার্থদা মোটা হোক, রোগা হোক, সে আপনার ঘরের ছেলে: বেহালায় মমতা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাল বাদ পরশু বেহালার দুই কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ। আজই ছিল প্রচারের শেষ দিন। বুধবার বেহালা পূর্ব ও পশ্চিমের দুই তৃণমূল প্রার্থী যথাক্রমে রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই তিনি বলেন, তৃণমূলের প্রার্থীরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকবেন। আর ওরা পালিয়ে যাবে। ওরা কারা? বেহালার দুই কেন্দ্রে বিজেপি দুই সেলিব্রিটি মুখকে প্রার্থী করেছে। রত্নার বিরুদ্ধে লড়ছেন পায়েল সরকার এবং পার্থবাবুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ্রাবন্তী।
এদিন মমতা বলেন, “আরে পার্থদা ভাল হোক, খারাপ হোক, রোগা হোক মোটা হোক, সে আপনার ঘরের ছেলে। আর কোথা থেকে দু’দিকে দুটোকে জুটিয়ে এনেছে কে জানে! ওরা তো পালিয়ে যাবে।”
দিদি যেদিন কালীঘাটের বাড়ি থেকে প্রার্থী ঘোষণা করছিলেন সেদিন বলেছিলেন, বেহালা পূর্বে এবার হেভিওয়েট প্রার্থী। রত্না চট্টোপাধ্যায়। মেয়েদের সুরক্ষার জন্য ওকে দাঁড় করিয়েছি। বলাই বাহুল্য দিদির উদ্দেশ্য কী ছিল। এদিন সেই রত্না সম্পর্কেই তিনি বলেন, “আমি যখন মার খেয়ছিলাম সিপিএমের হাতে, রত্না তখন ছোট্ট মেয়ে। ও তখন আমার হয়ে লড়েছিল।”
অনেকের মতে, বেহালায় দাঁড়িয়ে মমতা বোঝাতে চেয়েছেন, রত্না-পার্থরা সারা বছর রাজনীতিতে থাকেন। মানুষ ডাকলে এঁদেরই পাবেন। সেলেবরা মানুষের আপদে বিপদে ছুটে যাবে না। পালিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক মহলের অনেকে এও বলছেন, দিদি যদি বেহালায় দাঁড়িয়ে বিজেপির দুই সেলেব প্রার্থীর সম্পর্কে এসব বলেন তাহলে সায়ন্তিকা, সোহম, কৌশানি, লাভলি, জুন মালিয়াদের জন্য কি এই কথা খাটে না?
এদিন মমতা দাবি করেছেন, তিনি যদি বাংলার মাটিকে চিনে থাকেন তাহলে দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছেন। এও বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে কিছু গদ্দার বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় হারিয়েছিল। এবার আলিবাবার চল্লিশ চোরের মতো ঘ্যাচাং ফু হয়ে গেছে বিজেপি। সম্প্রতি অমিত শাহ বলেছেন, বাংলায় তিন দফায় যে ৯১টি আসনে ভোট হয়েছে তার মধ্যে ৬৮টি আসন বিজেপি জিততে চলেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই মমতা এদিন অমিত শাহের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে বলেছেন, “ভগবানের বাবা এসেছেন!”