
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের ১ মার্চ থেকে কোভিডের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। ৪৫ বছর পর্যন্ত কোনও রোগীর শরীরে কোমর্বিডিটি থাকলে তাকেও ভ্যাকিসন দেওয়া হবে এবার। তাছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।
এদিকে এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, বাংলায় ভোট আসছে। ভোট দিতে দিয়ে বহু মানুষ সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই রাজ্য সরকার চাইছে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে। কোথা থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পাওয়া যাবে, অর্থাৎ রাজ্য সরকার কোথা থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করবে তা যেন কেন্দ্র দ্রুত রাজ্যকে জানায়। যাতে রাজ্য সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করতে পারে।
বাংলার আগে কোভিডের মধ্যেই বিহারে ভোট দেওয়া হয়েছে। তখন কোভিডের টিকায় বেরোয়নি। কিন্তু এখন টিকা বেরিয়ে গিয়েছে। বাংলার সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের আগে দেশজুড়ে টিকাকরণ পুরোদস্তুর শুরু হয়ে গেছে।
তবে অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠির উদ্দেশ্য পুরোপুরি রাজনৈতিক। আলাদা করে কোনও রাজ্যকে সেরাম ইনস্টিটিউট বা ভারত বায়োটেকের থেকে টিকা কেনা বা সংগ্রহের অনুমতি এখনও কেন্দ্র দেয়নি। কারণ, তাহলে রাজ্যগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা ও টানাটানি শুরু হয়ে যাবে। তাই ধাপে ধাপে টিকাকরণের পথেই হাঁটছে কেন্দ্র।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের কথায়, নবান্নও জানে যে রাজ্য চাইলেই কেন্দ্র এখন পশ্চিমবঙ্গকে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দিয়ে টিকা দিতে পারবে না। কিন্তু তা জেনেও চিঠি লেখা হয়েছে। যাতে ভোটের সময়ে বলা যায় যে আমরা ফ্রিতে টিকা দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কেন্দ্রই টিকা দেয়নি।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “কোভিডের সংক্রমণের আশঙ্কা এখনও যায়নি। ভোটের সময়েও সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছেন দেখেই আশ্চর্য হচ্ছি। ভরা লকডাউনের মধ্যে উনি মিষ্টির দোকান, ফুলের বাজার খুলে দিয়েছিলেন। তখন কোভিড ছড়ানোর ভয় পাননি, আর এখন ভয় পাচ্ছেন।”