
লকডাউনের মেয়াদ ২৯ মে পর্যন্ত বা়ড়িয়ে দিল তেলেঙ্গানা, প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে জানিয়ে দিলেন চন্দ্রশেখর
লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে তেলেঙ্গানা বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। ১৪ এপ্রিলের পর যখন লকডাউনের মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হয়, তার আগেই চন্দ্রশেখর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তাঁর রাজ্যে লকডাউন চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। পরবর্তী কালে ফের কেন্দ্রের আগেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন তিনি। এবারও তাই করলেন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী তৃতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ ১৭ মে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে তেলেঙ্গানায় লকডাউনের মেয়াদ আরও ১২ দিন বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। এদিন রাতে তিনি জানান, “তেলেঙ্গানায় ২৯ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি”।
লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে তেলেঙ্গানা বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। ১৪ এপ্রিলের পর যখন লকডাউনের মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হয়, তার আগেই চন্দ্রশেখর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তাঁর রাজ্যে লকডাউন চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। পরবর্তী কালে ফের কেন্দ্রের আগেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন তিনি। এবারও তাই করলেন।
অনেকের মতে, কেন্দ্রের পরামর্শেই হয়তো চন্দ্রশেখর তা করছেন। তিনি কেন্দ্রের সরকারের কথা শুনে হয়তো লিটমাসের কাছ করছেন। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে মানুষ কেমন প্রতিক্রিয়া জানায় তা দেখতে চাইছে কেন্দ্রও। তাৎপর্যপূর্ণ হল, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দায় কেন্দ্র কিন্তু নিজের ঘাড়ে নিতে চাইছে না। প্রতিবারই এই মর্মে রাজ্যস্তর থেকে দাবি উঠছে তার পরই কেন্দ্র লকডাউনের মেয়াদ বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন
প্রবাসী ভারতীয়দের পরীক্ষা না করে ফিরিয়ে আনলে ফল হবে মারাত্মক, বিজয়নের চিঠি মোদীকে
এ দিন হায়দরাবাদে তেলেঙ্গানা মন্ত্রিসভার বৈঠক প্রায় সাত ঘন্টা ধরে চলে। তার পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, কেন্দ্র জানিয়েছে, রেড জোনেও কিছু দোকান খোলা যাবে। কিন্তু আমরা রেড জোনে কোনও দোকান খুলতে দিচ্ছি না। বিশেষ করে, হায়দরাবাদ, সূর্যপেট, ভিকারাবাদে কোনও দোকান খোলা যাবে না।
এখনও পর্যন্ত তেলেঙ্গানায় মোট ১০৯৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪২৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৬২৮ জনকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রেড জোনে দোকান খুলতে না দিলেও কিছু বিষয়ে লকডাউনের শর্ত শিথিল করেছে তেলেঙ্গানা। কৃষিক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে, উৎপাদন ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও বলেন, এই সংকটের পরিস্থিতিতে কোনও দেশই আমাদের খাবার সরবরাহ করবে না। খাদ্য সুরক্ষা আমাদের নিজেদেরই সুনিশ্চিত রাখতে হবে। সেই কারণে সার, বীজ বিক্রি ইত্যাদিতেও শিগগির অনুমোদন দেওয়া হবে।