
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিনের একটি ডোজের দাম আড়াইশ টাকার বেশি নেওয়া চলবে না। শুক্রবার সরকার জানিয়েছিল, মানুষ কোন সেন্টার থেকে ভ্যাকসিন নেবেন তা নিজেই স্থির করবেন। ১ মার্চ থেকে দেশে ষাটোর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। সেই সঙ্গে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী যে ব্যক্তিদের শরীরে অন্যান্য রোগ আচ্ছে, তাঁরাও ভ্যাকসিন নেবেন।
সারা দেশে মোট ১০ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ষাটোর্ধ্বরা পরিচয়পত্র সঙ্গে আনলেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ৪৫–এর বেশি বয়সী যে ব্যক্তিরা গুরুতর রোগে ভুগছেন, তাঁদের একটি ফর্ম দেওয়া হবে। তাঁরা কোনও স্বীকৃত চিকিৎসককে দিয়ে ফর্মটি সই করিয়ে আনবেন। তাহলেই তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
যে সফটওয়ারের মাধ্যমে দেশের নানা অঞ্চলে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজের সমন্বয় সাধন করা হচ্ছিল, তার আপডেট করার জন্য চলতি সপ্তাহের শেষে টিকাকরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি শুরু হয় টিকাকরণ। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১৫ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত টিকাকরণ করা যাবে বলে আশা করা গিয়েছিল, তা সম্ভব হয়নি। কারণ স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখ সারির কোভিড যোদ্ধারা অনেকেই দেশে তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকা নিতে দ্বিধাবোধ করেছেন।
যতজন ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের মাত্র ১১ শতাংশকে দেওয়া হয়েছে ভারত বায়োটেক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভ্যাক্সিন। সরকার চায়, অগাস্টের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দিতে। মানুষ যদি ইচ্ছামতো সেন্টারে গিয়ে টিকা নিতে পারেন, তাহলে কোন টিকা নেবেন তাও বেছে নিতে পারবেন। এর ফলে আরও দ্রুত টিকাকরণ করা যাবে বলে সরকারের ধারণা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এর আগে যে স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা বাদ পড়েছেন, তাঁরাও আগামী পর্যায়ে টিকা নিতে পারবেন। এবার সকলে নিজের ইচ্ছামতো কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, “আমরা শুধুমাত্র কোভিশিল্ড আর কোভ্যাকসিনের ওপরেই নির্ভরশীল নই। আরও সাতটি ভ্যাকসিনের কাজ চলছে। তার সঙ্গে আমরা আরও ভ্যাকসিন তৈরি করার কাজ করেই চলেছি। কারণ ভারত অনেক বড় দেশ। তাই সবার কাছে পৌঁছনোর জন্য আমাদের অনেক বেশি ভ্যাকসিনের প্রয়োজন পড়বে। সেই কাজই আমরা করে চলেছি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই সাতটি ভ্যাকসিনের মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিন ট্রায়াল পর্যায়ে, দুটি প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টেজে, একটি প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল ও আর একটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে।