
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শনিবার সকালে বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন এক দম্পতি। তাঁদের সহযাত্রীরা দেখেন, দু’জনের হাতেই কোয়ারান্টাইনের স্ট্যাম্প রয়েছে। যাদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়, তাদের হাতে ভোটের কালি দিয়ে ছাপ দেওয়া হয়। সেই কালি তিন মাসের আগে ওঠে না।
এদিন বেলা পৌনে ১০ টা নাগাদ ট্রেন যখন কাজিপেট স্টেশনে পৌছায় তখন অনেকে ওই দম্পতির হাতে কোয়ারান্টাইনের ছাপ লক্ষ করেন। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে টিটিকে জানান। ট্রেন থামিয়ে ওই দম্পতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরো কাজিপেট স্টেশন পরিষ্কার করা হয়।
এর মধ্যে বিশ্ব জুড়ে কোভিড-১৯ রোগে মারা গিয়েছেন ১১ হাজারের বেশি। অসুস্থ হয়েছেন আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে হু-র প্রধান টেড্রোস আধানোম ঘেব্রেইসাস ভারচুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করলেন জেনিভায়। সেখানে তিনি তরুণদের সতর্ক করে বলেন, তোমাদেরও নিশ্চিত হওয়ার কারণ নেই। সাধারণত বয়স্কদেরই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে বেশি। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে যুবক-যুবতীরাও আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদেরও হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
চিনের উহান থেকে গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরু হয়। গত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ের মধ্যে সেখানে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। অর্থাৎ সেখানে কোভিড-১৯ কে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। হু প্রধান এ ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “উহানকে দেখে আমরা ভরসা পাচ্ছি। তার মানে পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক, তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।” এর পরে অবশ্য তিনি বলেন, “আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। পরিস্থিতি যে কোনও সময় ফের খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে। কিন্তু যে দেশ বা শহরগুলি মহামারীকে প্রতিরোধ করতে পেরেছে, তাদের দেখে বিশ্বের বাকি দেশগুলির আশাবাদী হওয়ার কারণ আছে।”