
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর আগাম জামিন পেলেন মিঠুনের স্ত্রী যোগীতা বালি এবং ছেলে মহাক্ষয়। কিন্তু আশঙ্কা ছিল একটাই। এই সবের মাঝে পরে মহাক্ষয় ওরফে মিমোর বিয়েটাই না ভেস্তে যায়। আর হলোও ঠিক তাই। একেবারে বিয়ের আসরেই তদন্ত করতে চলে এল পুলিশ।
শনিবারই উটির হোটেল ‘দ্য মোনার্ক’-এ বসার কথা ছিল মিমো এবং দক্ষিণী অভিনেত্রী মাদলসার বিয়ের আসর। বিয়ের কয়েকদিন আগেই অবশ্য মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং প্রতারণার অভিযোগ আনেন এক ভোজপুরী অভিনেত্রী। প্রতারণার মামলা করা হয় মিঠুনের স্ত্রী যোগীতা বালির বিরুদ্ধেও। কিন্তু এত ঝামেলার মধ্যেও মিমো আর মাদলসার বিয়ে হবে সে কথা জানিয়েছিলেন বর-কনে দুই পরিবারই। কিন্তু মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু হওয়ায় তদন্ত করতে শনিবার হোটেল দ্য মোনার্কে একেবারে বিয়ের আসরেই পৌঁছে যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ আসার পরেই নাকি বিয়ের আসর ছেড়ে চলে যান কনে পক্ষ।
ভোজপুরী ওই অভিনেত্রীর অভিযোগ ছিল, মিমো তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন। এমনকী তাঁর পানীয়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই অভিনেত্রী। এর পাশপাশি ওই অভিনেত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন, মিমোর সঙ্গে নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল তাঁর মক্কেলের। মেলানো হয়েছিল কুষ্ঠিও। কিন্তু আচমকাই নাকি বেঁকে বসেন মিঠুন পুত্র। বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তিনি। অভিযোগ, ওই অভিনেত্রী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে জোর করে তাঁর গর্ভপাত করান মিমোর মা যোগীতা বালি।
প্রথমে বম্বে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন মিঠুনের স্ত্রী এবং ছেলে। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। তবে বিচারপতি অজয় গডকড়ি জানিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন তাঁরা। এর পর শনিবারই দিল্লির আদালত ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মা ও ছেলের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। কিন্তু আগাম জামিন পেয়েও বিশেষ লাভ হলো না। কারণ ততক্ষণে যা হওয়ার তা তো হয়েই গিয়েছে। ভেস্তে গিয়েছে মিমো এবং মাদলসার বিয়ে।