
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী শান্তি স্বরূপ আরোরা (৭৯) এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা আরোরা (৬২) অন্যদিনের মতোই বেরিয়েছিলেন হাঁটতে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুদূর গিয়েছিলেন সবে, এমন সময় একটি গাড়ি এসে তাঁদের পিষে দিল! তার পরেই গাড়ির দরজা খুলে নেমে আসেন চালিকা। গাড়ির অন্য পাশে গিয়ে তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন কয়েক মুহূর্ত। তারপরই কাউকে ফোন করার জন্য গাড়ি থেকে ফোন বের করে নেন।
দিল্লির সেক্টর ১১-এ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে প্রাণ গেল প্রবীণ দম্পতির। দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় পথচারীরা গাড়িটিকে ঘিরে ফেলেন। গাড়ির পেছনের চাকায় আটকে থাকা আহত দম্পতিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু লাভ হয়নি। ঘটনাস্থলেই মারা যান অরোরা দম্পতি।
পুলিশ সূত্রের খবর, চালিকার নাম দীপাক্ষি চৌধুরী। তিনি একটি বহুজাতিক সংস্থার কর্মচারী। জানা যায়, দীপাক্ষি, শান্তি স্বরূপ এবং অঞ্জনা সকলেই ছিলেন একই আবাসনের বাসিন্দা। দ্বারকার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সন্তোষ কুমার মিনা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দীপাক্ষি মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। তবে তিনি ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে গাড়িটি বেশ জোরে চলছিল। তবে ঠিক কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও ধোঁয়াশায়।
যদিও দীপাক্ষি দাবি করেছেন, তিনি নাকি অন্যমনস্ক হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন সেদিন। কখন যে এমনটা ঘটে গেল তা নাকি তিনি বুঝতেই পারেননি। প্রশ্ন উঠেছে, শহরের রাস্তায় কি কেউ এতটা অন্যমনস্ক ভাবে চালাতে পারেন, যে তিনি কাউকে ‘না বুঝেই’ চাপা দিয়ে ফেলবেন!
মৃত দম্পতির ছেলে বিদেশে থাকেন। বাবা-মার আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি শোকস্তব্ধ। ইতিমধ্যেই দিল্লি এসে পৌঁছেছেন। পুলিশের কাছে তাঁর করা অভিযোগের ভিত্তিতে দীপাক্ষির বিরুদ্ধে ৩০৪ ক এবং ২৭৯ ধারায় ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে। দীপাক্ষিকে গ্রেফতারও করা হয়, কিন্তু তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।