
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দাদা নাকি বরাবরই সাতে-পাঁচে থাকেন। আর সেই দাদাকে ঘিরেই নেটপাড়া এখন গমগম করছে। কারণ, লাল ছেড়ে একবার সবুজ, তার পরে সবুজ ছেড়ে এবার গেরুয়া রঙের দিকে কাত হয়ে সম্প্রতি ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন দাদা, তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
বারংবার দলবদল, রঙবদল করতে করতে সুবিধাবাদী এবং সুবিধাভোগী বলে সরাসরি অভিনেতাকে ‘ঠুকে’ এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আবৃত্তি পোস্ট করলেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। সকলে অবশ্য এই আবৃত্তিকে স্পষ্টতই প্যারডি বলছেন। কারণ মাস কয়েক আগেই এই সুরেই আবৃত্তি করেছিলেন রুদ্রনীল। কথাগুলো কেবল অন্য ছিল। তখনও কেউ জানত না, দিন কয়েক পরে বড় চমক আসতে চলেছে!
লকডাউন পরবর্তী যেসব পোস্ট রীতিমতো ঝড় তুলেছিল নেট দুনিয়ায়, তার মধ্যে অন্যতম ছিল রুদ্রনীল ঘোষের ভিডিও ‘দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না।’ তুমুল ঝড় ওঠার পরেও, ঘর বন্ধ করে যাঁরা সার্থপরের মতো বসে থাকেন, সমাজের সেই এক শ্রেণির মানুষকে কটাক্ষ করেই একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন রুদ্রনীল। এর প্রতিটা কথা তাঁর লেখা। ভিডিওতে আবৃত্তি করতে করতেই অভিনয়ও করেছেন তিনি। এবারে সেই সুরে সুর মিলিয়ে, কথা পাল্টে, ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিমায় রুদ্রনীলের তীব্র নিন্দা করলেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি তৃণমূলের বেশকিছু নেতাদের ব্যবহার এবং ভাবভঙ্গির ত্রুটি সর্বসমক্ষে জানিয়েছেন রুদ্রনীল। অথচ অভিনেতা বেশ কয়েকবছর ধরে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বহু সুযোগ পেয়েছেন বলেই দাবি অনেকের। সে কারণেই অনিকেত মনোলগে লিখেছেন, “দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না। লাল বাতি গাড়ি চাই। তিন লাখি পদ চাই। সেসব তো ছাড়তেই পাড়ি না। দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না। তবে দেখেছি অনেক ভেবে, কী কোথায় পাওয়া যাবে, সেই হিসেবের শেষে সেই গোয়ালে কে কে যাবে, যদি লাভ থাকে সে হিসেবে, সে সুযোগ কভু আমি ছাড়ি না। দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না।”

এরপরেই পরিচালক লিখেছেন, “দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না। লালে লাল উড়িয়েছি নট বিপ্লবী। দিদির আঁচল ধরে বাগিয়েছি সবই। এবার গেরুয়া ধরে এমপি হবই আমি। আহা! দেব হতে সাধ কি মোর জাগে না! দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না।…”
রুদ্রনীলের মনোলগের মতোই, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের আজ সকালে পোস্ট করা এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রচুর লাইক, কমেন্ট পড়েছে ভিডিওর নীচে। কেউ কেউ মন্তব্য করে অনিকেতের লেখা কথাগুলোকে “যথাযথ” বলেছেন। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করে রুদ্রনীল ঘোষকে গিরগিটির সঙ্গে তুলনা করেছেন। কিন্তু রুদ্রনীলের এই বেসুরো হাওয়া কোনদিকে বইবে সেটা তো সময়ই বলবে।