
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের নামঞ্জুর হয়ে গেল গরু পাচারকান্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের জামিন। আজ, বুধবার তাকে সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। চার্জশিট জমা দেওয়ার পর এই প্রথম এনামুলকে কোর্ট পেশ করা হল। ইতিমধ্যেই ৮৮ দিন জেল হেফাজতে কাটানো হয়ে গিয়েছে এনামুলের। এদিন এনামুলের আইনজীবী ফের জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে দেন। বরং তাকে আরও দশ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দুদিন আগে অর্থাৎ গত ৮ ফেব্রুয়ারি গরু পাচারকান্ডের চার্জশিট বিশেষ আদালতের কাছে পেশ করে সিবিআই। সেখানে এনামুল ও বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার সহ পুরনো অভিযুক্ত আরও দুজনের নাম রয়েছে। তাছাড়া নতুন করে আরও তিনজন অভিযুক্তের নাম ঢোকানো হয়। তারা এনামুল ও সতীশের পরিবারের সদস্য। এই নিয়ে মোট সাতজনের নামে জামিন অযোগ্য ধারা মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।
চার্জশিট দাখিলের পর আজ এনামুলকে ফের অল্প সময়ের জন্য আদালতে তোলে সিবিআই। দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিচারক এনামুল হকের জামিন নাকচ করে দেন এবং আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে এদিন আদালত কক্ষ থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার পর পুলিশের ওপর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো অভিযোগ তুলেছে এনামুল। সাংবাদিকদের সামনে এনামুলের দাবি, ‘সিবিআই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে চার্জশিট জমা দিয়েছে।’ যদিও অন্য অভিযুক্ত বিএসএফ কম্যান্ড্যান্ট সতীশ কুমার এখনও জামিনে পেয়ে বাইরে রয়েছেন। তবে সিবিআই কম্যান্ড্যান্ট সতীশের ওপর নজর রেখে চলেছে।
এদিকে এনামুলের আইনজীবী শেখর কুন্ডুর দাবি, বিচারকের ভাবগতি দেখে বোঝা যাচ্ছে এনামুলকে জামিন দেওয়ার পক্ষপাতি তিনি নন। এনামুলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা রয়েছে। সেই মামলারও শুনানি রয়েছে এই সপ্তাহেই। তাই এনামুলকে জুডিশিয়াল কাস্টডিতে রাখার ইচ্ছে ছিল তাঁর।
শেখর কুন্ডু আরও বলেন, এই মামলায় ৯২জন সাক্ষী রয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি, কোর্ট বন্ধ থাকার সময় পুলিশ কয়েকজন সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি নিয়েছে। তবে সেইগুলি রেকর্ড আমাদের দেওয়া হয়নি।