
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ২০২০-২১ সালের আর্থিক বছরে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার সাড়ে আট শতাংশই থাকছে। তার আগের আর্থিক বছরেও সুদের হার একই ছিল। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, শ্রীনগরে পিএফের ট্রাস্টি বোর্ডের এক বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সংকটের মধ্যে পিএফ থেকে অনেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। অনেকক্ষেত্রে পিএফের টাকা যথাযথভাবে জমা পড়েনি। তাই অনেকের ধারণা হয়েছিল, এবার পিএফে সুদের হার কমতে পারে। ২০১৮-১৯ সালে পিএফে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। গতবছর মার্চ মাসে সুদ কমিয়ে ৮.৫ শতাংশ করা হয়। এর আগে ২০১৫-১৬ সালে সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। ২০১৭-১৮ সালে সুদ কমে হয় ৮.৫৫ শতাংশ।
গত বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, পিএফের যে গ্রাহকরা ওই তহবিলে এক বছরে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি জমা দিয়েছেন, তাঁরা আগামী মাস থেকে ৮.৫ শতাংশ করমুক্ত রিটার্ন পাবেন না।
এবারের বাজেটে জানা যায়, চলতি আর্থিক বছরে রাজকোষ ঘাটতি পৌঁছতে পারে জিডিপি-র ৯.৫ শতাংশে। করোনা অতিমহামারীর ফলে রাজকোষ ঘাটতির রেকর্ড হতে পারে ২০২০-২১ সালে।
সরকারের রাজস্ব বাবদ আয় ও ব্যয়ের মধ্যে যে ফারাক, তাকেই রাজকোষ ঘাটতি বলা হয়। ২০২১-২২ সালের আর্থিক বছরে ওই ঘাটতি ৬.৮ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, আগামী আর্থিক বছরে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ করা হতে পারে। তাঁর দাবি, চলতি আর্থিক বছরে রাজকোষ ঘাটতির যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল, তা কোভিড অতিমহামারীর জন্য পূরণ করা যায়নি।
রাজকোষ ঘাটতি যত বেশি হয়, সরকারকে তত বেশি ঋণ নিতে হয়। ফিসক্যাল রেসপন্সবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী মাঝারি মেয়াদে রাজকোষ ঘাটতি তিন শতাংশে বেঁধে রাখতে হয়।
আর্থিক ঘাটতির মোকাবিলা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার চারটি মাঝারি মাপের ব্যাঙ্ক বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের জন্য শর্টলিস্ট করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। একটি সূত্রে খবর, চারটির মধ্যে অন্তত দু’টি ব্যাঙ্ককে ২০২১-২২ সালের আর্থিক বছরের মধ্যেই বিক্রি করে দেওয়া হবে। সরকার প্রথমে মাঝারি ও ছোট মাপের ব্যাঙ্কগুলি বেসরকারিকরণের দিকে নজর দিচ্ছে। তাতে সাধারণ মানুষের কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা লক্ষ করে বড় মাপের ব্যাঙ্ক বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।