অবাক কাণ্ড, শিম্পাঞ্জিদের সমাজেও আছে ‘নেপোটিজম’ এবং ক্ষমতা দখলের লড়াই!
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস টিলে শিম্পাঞ্জিদের অদ্ভুত আচরণের কিছু উদাহরণ দিয়েছেন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মানুষের কিছু আচরণের সঙ্গে শিম্পাঞ্জিদের আচরণের প্রচুর মিল আছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস টিলের মতে, মানুষের মতো শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দেখা যায়। শিম্পাঞ্জিদের সমাজে নেতারা রীতিমতো রাজনীতি করে নিজের প্রভুত্ব কায়েম রাখে। অধ্যাপক টিলে, শিম্পাঞ্জিদের অদ্ভুত আচরণের কিছু উদাহরণ দিয়েছেন।
(১) দলে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য শিম্পাঞ্জিরা শত্রুর সঙ্গে মিত্রতা করে। এ জন্য বন্ধুর হাত ছাড়তেও পিছপা হয় না। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য শিম্পাঞ্জিদের দলবদল চলতে থাকে।

(২) গোষ্ঠীর মধ্যে উপগোষ্ঠী তৈরির জন্য শিম্পাঞ্জিরা নিজের চেয়ে দুর্বল কাউকে বেছে নেয়। একজন দুর্বল শিম্পাঞ্জি তার চেয়ে শক্তিশালী শিম্পাঞ্জিকে জোটে নেয় না। ভাগে বেশি খাবার ও প্রজনন সঙ্গী পাওয়ার লোভে।
(৩) শিম্পাঞ্জিদের দলে দেখা যায়, দুটি দুর্বল শিম্পাঞ্জি একজোট হয়ে তাদের চেয়ে শক্তিশালী শিম্পাঞ্জিকে আক্রমণ করছে। ছোট ছোট শক্তি একত্রিত হলে শক্তিশালী শত্রুও হার মানতে বাধ্য, এটা তারা জেনে গিয়েছে।





(৮) শিম্পাঞ্জি দলনেতাদের মধ্যে স্বজনপোষণ দেখা যায়। তার কাছাকাছি থাকা শিম্পাঞ্জিরা শিকারের বখরা বেশি পায়।
(৯) শিম্পাঞ্জিরা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ বা আকার ইঙ্গিতের সাহায্যে নিজের জোটের সদস্যদের সাথে গোপন কথা শেয়ার করতে পারে।
(১০) এক গোষ্ঠীর দলনেতা আকার ইঙ্গিতের সাহায্যে তার জোটের সদস্যদের অন্য গোষ্ঠীর শিম্পাঞ্জি নেতার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে পারে।