
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত মঙ্গলবার বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে কৃষি আইনগুলি খতিয়ে দেখার জন্য চার সদস্যের কমিটি গড়ে দেয় শীর্ষ আদালত। কৃষক ইউনিয়নগুলি আপত্তি জানিয়ে বলে, কমিটির চার সদস্যই অতীতে কৃষি আইনের পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন। গত ১৪ জানুয়ারি কমিটির সদস্য ভূপিন্দর সিং মান পদত্যাগ করেন। শনিবার একটি কৃষক ইউনিয়ন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে, কমিটির বাকি তিন সদস্যকেও সরিয়ে দেওয়া হোক। তারপর নতুন কমিটি গঠন করুক শীর্ষ আদালত।
ভূপিন্দর সিং মান কমিটি থেকে পদত্যাগ করার পরে বলেন, কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করতে চান না। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “আমি নিজে একজন কৃষক। একইসঙ্গে আমি কৃষক ইউনিয়নের নেতা। মানুষের ভাবাবেগের কথা বিবেচনা করে আমি কমিটির সদস্যপদ ত্যাগ করছি। আমি চাই না, পাঞ্জাব তথা দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হোক।” পরে তিনি বলেছেন, “আমি সবসময়ই পাঞ্জাব এবং দেশের পক্ষে দাঁড়াব।”
মান বাদে কমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়া শাখার ডিরেক্টর প্রমোদ কুমার যোশি, এগ্রিকালচারাল ইকনমিস্ট অশোক গুলাটি এবং শ্বেতকারী সংগঠনের সভাপতি অনিল ঘানওয়াত।
এদিন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন লোকশক্তি সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়ে বলে, যাঁদের কমিটিতে রাখা হয়েছে, তাঁরা সকলেই কৃষি আইনের সমর্থক। এক্ষেত্রে ‘ন্যাচরাল জাস্টিস’-এর নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর আগে দিল্লি পুলিশ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল, কৃষকদের ২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর মিছিল বার করতে নিষেধ করা হোক। কারণ সেক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্র দিবস পালনে বাধা সৃষ্টি হবে। কৃষক ইউনিয়ন এদিন দিল্লি পুলিশের ওই পিটিশন খারিজ করার আর্জি জানায়।

সুপ্রিম কোর্ট কৃষি আইন নিয়ে রায় দিলেও আন্দোলন ছেড়ে নড়েননি কৃষকরা। বরং ওই রায় দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই অমৃতসর থেকে দিল্লি সীমান্তের উদ্দেশে রওনা হয়েছে ট্র্যাক্টরের কনভয়। কিষাণ-মজদুর সংঘর্ষ কমিটির ব্যানারে ওই কনভয় ২৬ জানুয়ারি দিল্লির ট্রাক্টর মিছিলে অংশ নেবে। ২০ জানুয়ারির মধ্যে পাঞ্জাবের আরও নানা জায়গা থেকে যত বেশি সংখ্যক ট্র্যাক্টর দিল্লিতে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। কৃষক ইউনিয়নগুলি বলেছে, যাঁরা ট্র্যাক্টর পাঠাতে পারবেন না, তাঁদের জরিমানা দিতে হবে। নয়তো তাঁরা সামাজিক বয়কটের মুখে পড়বেন।