
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিলের ডাক দিয়েছে ৪০ টি কৃষক ইউনিয়ন। তাতে কয়েক হাজার কৃষক অংশ নিতে প্রস্তুত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আরও একবার জানিয়ে দিল, প্রস্তাবিত ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে কোনও রায় দেওয়া হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারও এদিন জানিয়ে দিয়েছে, ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশই।
কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দিয়ে বলেছিল, ট্র্যাক্টর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। সোমবারই শীর্ষ আদালত এসম্পর্কে রায় দিতে অস্বীকার করে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা সরকারকে আর্জি তুলে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। বিচারপতিদের বেঞ্চ এদিন বলে, “কোনও মিছিলে অনুমতি দেওয়া বা নিষেধাজ্ঞা জারি করা আমাদের কাজ নয়। পুলিশই এসম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিক। আমরা কোনও রায় দেব না।”
দিল্লি সীমান্তে অবস্থানরত কৃষকরা আগেই জানিয়েছিলেন, সরকার তাঁদের দাবি মেনে না নিলে ২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর মিছিল বার করবেন। ওইদিন হরিয়ানাতেও কৃষকরা ট্র্যাক্টর মিছিল বার করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম থেকে একটি করে ট্র্যাক্টর আনতে বলা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা আশা করছেন, ২৬ জানুয়ারি ২০ হাজার ট্র্যাক্টর নিয়ে মিছিল করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিল, ২৩ তারিখে দিল্লিতে কুচকাওয়াজের রিহার্সাল হবে। ২৮ জানুয়ারি শহরে শোভাযাত্রা করবে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর। ২৯ জানুয়ারি হবে বিটিং দ্য রিট্রিট। ৩০ জানুয়ারি পালিত হবে ‘শহিদ দিবস’। এই অনুষ্ঠানগুলিতে বিঘ্ন ঘটলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি তো হবেই, সেই সঙ্গে সারা দেশই অস্বস্তিতে পড়বে।

কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, প্রত্যেকের আন্দোলন করার অধিকার আছে ঠিকই কিন্তু বিশ্বের সামনে দেশকে অপমান করার অধিকার কারও নেই। শীর্ষ আদালতের কাছে সরকার আবেদন করেছিল, ২৬ জানুয়ারি রাজধানী বা তার আশপাশের এলাকায় কাউকে যেন ট্যাক্টর, ট্রলি বা অন্য গাড়ি নিয়ে মিছিল করার অনুমতি না দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, কৃষি আইন নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হয়নি। দুই দশক ধরে আলোচনার পরে ওই আইন করা হয়েছে। দেশের কৃষকরা ওই আইনে খুশি হয়েছেন। এর ফলে তাঁরা উৎপাদিত ফসল বিক্রি করার আরও বেশি সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে মোদী সরকার চেষ্টা করছে যাতে কৃষকদের মধ্যে থেকে ওই আইন নিয়ে ভুল ধারণা দূর করা যায়।