
দ্য ওয়াল ব্যুরো : করোনার সেকেন্ড ওয়েভ ঠেকাতে নাইট কার্ফু জারি হল নয়ডা শহরেও। রাজধানী দিল্লির কাছে অবস্থিত ওই শহরের প্রশাসন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত শহরে জারি থাকবে নাইট কার্ফু। তার মেয়াদ হবে রাত ১০ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। এর আগে দেশের একাধিক শহরে করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নাইট কার্ফু জারি হয়েছে আরও কয়েকটি শহরে।
বৃহস্পতিবার সকালে জানা যায়, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে একাধিক রাজ্য জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিনের স্টক শেষ হয়ে এসেছে। গত সোমবার দেশে প্রথমবার দৈনিক সংক্রমণ ছাড়ায় এক লক্ষ। এখনও পর্যন্ত মোট তিনদিন দৈনিক সংক্রমণ এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। বিশ্বে কোথাও দৈনিক এত বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন না।
সংক্রমণের এই অভুতপূর্ব বৃদ্ধিতে অবাক হয়ে গিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের বক্তব্য, কোভিড বিধি না মেনে নাগরিকরা অনেক জায়গায় ভিড় জমিয়েছেন। অনেকে মাস্ক পরছেন না। সেজন্যই বেড়েছে সংক্রমণ। নিউজিল্যান্ড সরকার বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে, ভারত থেকে কাউকে তাদের দেশে আসতে দেওয়া হবে না। এমনকি নিউজিল্যান্ডের কোনও নাগরিক যদি ভারত থেকে স্বদেশে ফিরতে চান, তাঁকেও এখন ঢুকতে দেওয়া হবে না।
অতিমহামারী শুরু হওয়ার পর ভারতে সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ। বুধবার মারা গিয়েছেন ৬৮৫ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৬২।
বৃহস্পতিবার জানা যায়, প্রতিষেধকের অভাবে বন্ধই হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের ২৬ টি টিকাকরণ কেন্দ্র। তার মধ্যে ২৩ টি অবস্থিত নভি মুম্বইতে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপী এদিন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় সাতারা, সাঙ্গলি এবং পানভেল অঞ্চলে ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের রাজ্যের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। মহারাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহে ৪০ লক্ষ ডোজ চাই। প্রতি মাসে চাই ১.৬ কোটি ভ্যাকসিন। রাজেশ তোপীর প্রশ্ন, “মহারাষ্ট্রের লোকসংখ্যা গুজরাতের দ্বিগুণ। গুজরাত এক কোটি ডোজ পেয়েছে, আমরাও এক কোটি ডোজ পেয়েছি।”
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের অনেক বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ওই হাসপাতালগুলিতে প্রতিষেধকের স্টক শেষ হয়ে গিয়েছে। ফের কবে ভ্যাকসিন আসবে তাদের জানা নেই। হাসপাতালগুলির বাইরে নোটিশ টাঙিয়ে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন আউট অব স্টক। যাঁরা ওই হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন, তাঁদের বলা হয়েছে, আগে খবর নিয়ে জানবেন ভ্যাকসিন এসেছে কিনা, তারপরে আসবেন।