
দ্য ওয়াল ব্যুরো : আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে বড়সড় পরিবর্তন এনেছেন জো বাইডেন। সম্প্রতি সেদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা স্বাগত জানিয়েছে নতুন অভিবাসন নীতিকে। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, অ্যাপলের সিইও টিম কুক ও শিল্পমহলের অন্যান্য কর্তা একবাক্যে বলেছেন, বাইডেনের পদক্ষেপ আমেরিকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করবে। বিদেশের বহু দক্ষ কর্মী আমেরিকায় কাজ করার সুযোগ পাবেন।
বুধবার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই বাইডেন কংগ্রেসে একটি অভিবাসন বিল পাঠান। তাতে প্রস্তাব দেওয়া হয়, আমেরিকায় নথিপত্র ছাড়াই যে হাজার হাজার মানুষ বাস করেন, তাঁদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য অপেক্ষার সময়সীমাও বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ওই বিলের নাম ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট ২০২১। ওই আইনে অভিবাসন পদ্ধতির আধুনিকীকরণ করা হবে। এখন প্রত্যেক দেশ থেকে কতজনকে আমেরিকায় চাকরি করার জন্য গ্রিন কার্ড দেওয়া হবে, তার সংখ্যা বেঁধে দেওয়া আছে। বাইডেন সেই উর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। এর ফলে ভারতের কয়েক হাজার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী উপকৃত হবেন।
অ্যাপলের টিম কুক বলেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেভাবে অভিবাসন নীতির সংস্কার করতে চাইছেন, তাতে আমেরিকান মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের ধারণার প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা প্রকাশিত হয়েছে।” বুধবার বিবৃতি দিয়ে টিম কুক বলেন, “প্রেসিডেন্ট যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে আমেরিকা আরও শক্তিশালী হবে।” বৃহস্পতিবার গুগলের সুন্দর পিচাই বলেন, “প্রেসিডেন্ট কোভিড রিলিফ, প্যারিস আবহাওয়া চুক্তিতে যোগদান ও অভিবাসন নীতি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই।” পরে তিনি বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে গুগল সমর্থন জানাচ্ছে। আমেরিকার অর্থনীতি যাতে দ্রুত কোভিড-পূর্ব পর্যায়ে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য আমরা প্রশাসনকে সাহায্য করব।”
অ্যাপল, গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানি আমেরিকায় হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ করে।
বাইডেন ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-তে ফের যোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। ট্রাম্পের আমলে কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে আমেরিকায় আসা নিষেধ করে দেওয়া হয়েছিল। বাইডেন সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিচ্ছেন। ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর দেওয়ার জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন। বাইডেন সেই পাঁচিল তৈরির কাজও বন্ধ করে দিয়েছেন।