
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রবল তুষারপাতে আটকে পড়া প্রায় ৩০০ পর্যটককে উদ্ধার করা হল অটল টানেল থেকে। জানা গেছে, গতকাল অর্থাত শনিবার ওই পর্যটকরা অটল টানেল পেরিয়ে লাহুল উপত্যকার দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রোটাং পাস এলাকায় প্রবল বরফে আটকে পড়েন তাঁরা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বড়-ছোট মিলিয়ে মোট ৭০টি আটকে পড়া গাড়ি উদ্ধার করা হয় টানেল থেকে।
জানা গেছে, মানালি পুলিশ, লাহুল পুলিশ ও ভারতীয় সেনা যৌথভাবে এই রেসকিউ অপারেশন চালিয়েছে। বরফ পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই গেছেন উদ্ধারকারীরা। পিছল রাস্তায় বরফ ঠেলে এগোনো বেশ কঠিন ছিল। শনিবার সন্ধে থেকে শুরু করে মাঝরাত অবধি চলে উদ্ধারকার। এখনও আরও কিছু পর্যটককে উদ্ধার করা বাকি বলে জানা গেছে।পর্যটকদের বাসে চাপিয়ে নিয়ে আসা হয় মানালিতে। সেই পথেও অনেকক্ষণ যানজটের মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের।
হিমাচলপ্রদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আবহাওয়া খারাপ থাকবে। ফলে অটল টানেলে আবারও বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতে সব ঠিক থাকলে একের পর এক গাড়ি অটল টানেল দিয়ে পেরিয়ে মানালির ঢুন্ডি থেকে একেবারে লাহুল উপত্যকার সিসু এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও, প্রকৃতি বাধ সাধলে তা কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়।
Due to heavy snowfall over 500 tourists stranded on the road between South Portal of Atal Tunnel and Solang Nalla in Manali. Efforts are being made to restore vehicular traffic and rescue stranded people: Raman Garsanghi, SDM Manali. #HimachalPradesh pic.twitter.com/G0HwhZR81s
— ANI (@ANI) January 2, 2021
ঢুন্ডি থেকে সিসু পর্যন্ত এই অটল টানেল তৈরির কাজ চলছে বহু বছর ধরে। এই টানেলের ফলে অনেকটা দীর্ঘ পাহাড়ি পথ সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে যাত্রীদের কাছে।গত অক্টোবরেই কাজ শেষ হওয়ার পরে অটল টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল টানেলটি।
তবে শীতকালে পাহাড়ের তুষারপাতের শোভা দেখতেই হোক, বা অটল টানেলের মধ্যে দিয়ে যাত্রা করার অভিজ্ঞতা লাভ করতেই হোক, শুরুর পর থেকেই অটল টানেলে প্রচুর পরিমাণ গাড়ির আনাগোনা এবং তার জেরে প্রবল যানজট লেগে রয়েছে।
কার্যত, এই টানেলের ফলে মানালি থেকে লাহুল যেতে অনেক কম পথ পেরোতে হলেও, সময় অনেকটাই বেশি লেগে যাচ্ছে যানজটের কারণে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও প্রশাসনকে চাপে ফেলেছে। তবে টানেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানাচ্ছেন, তুষারপাতের জন্যই এসব সমস্যা আরও বাড়ছে।