
কনুই, বগল, ঘাড়ে কালো ছোপ পড়ে গেছে? ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বংশগত কারণে, অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ও বডি স্প্রে ব্যবহারের কারণে, ডায়াবিটিসের কিংবা হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কারণেও সৃষ্টি হতে পারে এ ধরনের বিশ্রি দাগের। নিয়মিত ওয়াক্সিং, শেভিং বা হেয়ার রিমুভিং ক্রিম ব্যবহারের ফলে বাহুমূলে কালো ছোপ পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কালো ছোপের কারণে অনেকেই পছন্দের পোশাক পরার কথা ভেবেও পিছিয়ে আসেন। তবে ঘরোয়া টোটকাতেই রেহাই পাওয়া যায় এই সমস্যা থেকে।
বেকিং সোডা
বগলের, কনুইয়ের কালচে দাগ ওঠাতে বেকিং সোডা বেশ কার্যকরী। বেকিং সোডার সাথে সামান্য জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রনটি বগলের নিচের ত্বকে ভাল করে ঘষে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে চার বার ব্যবহার করুন। এতে ধীরে ধীরে বগলের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। শেভিং এর বদলে ওয়াক্সিং বগলের ত্বকে শেভিং করার বদলে ওয়াক্সিং করুন। ওয়াক্সিং করলে ত্বকের গভীর থেকে রোমকূপ উঠে আসে এবং ত্বক কালচে দেখায় না। এছাড়াও নিয়মিত ওয়াক্সিং করলে ধীরে ধীরে বগলের কালো দাগ কমে যায়।
লেবুর খোসা দিয়ে স্ক্র্যাবিং
অনেক সময় মৃত চামড়ার কারণে কালো দাগ হয়ে যায়। তাই মৃত চামড়া সরিয়ে ফেলতে পারলে বগলের কালো দাগ অনেকটাই কমে যায়। আর মরা চামড়া পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করা। স্ক্র্যাবিং এর দুটি পদ্ধতি। আর্ধেক চা চামচ লবণ, দুই চামচ গোলাপ জল, সামান্য জনসন বেবি পাউডার মিশিয়ে বগলের নিচে কিছুক্ষন ঘষে নিন। ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করুন। লেবুর খোসায় চিনি লাগিয়ে নিন। এবার চিনি সহ লেবুর খোসাটি বগলের ত্বকে ভাল করে ঘষুন। নিয়মিত ব্যবহারে ফলাফল পাবেন।
নারকেল তেল
রূপচর্চায় নারকেল তেলের কোনও তুলনাই হয় না। যদিও নারকেলের তেলের প্রভাবে কালো ছোপ কমতে সময় নেবে। তবে প্রতিদিন স্নানের আগে যদি ১০ থেকে ১৫ মিনিট নারকেল তেল মাসাজ করতে পারেন তবে অবশ্যই কালো ছোপ কমে যাবে। এভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে চার বার ব্যবহার করুন। এতে ধীরে ধীরে বগলের, কনুইয়ের ঘাড়ের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। শেভিং এর বদলে ওয়াক্সিং বগলের ত্বকে শেভিং করার বদলে ওয়াক্সিং করুন। ওয়াক্সিং করলে ত্বকের গভীর থেকে রোমকূপ উঠে আসে এবং ত্বক কালচে দেখায় না। এছাড়াও নিয়মিত ওয়াক্সিং করলে ধীরে ধীরে বগলের কালো দাগ কমে যায়।