
এগিয়ে থেকেও চেন্নাইয়ের কাছে হার, লিগের লড়াই আরও কঠিন হলো লাল-হলুদের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা থেকে চেন্নাই মেল ধরে সমর্থকরা পৌঁছে গিয়েছিলেন সুদূর চেন্নাইতে। বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ থেকেও উড়ে এসেছিলেন প্রবাসী লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু এগিয়ে থেকেও চেন্নাই ম্যাচ হারতে হলো লাল-হলুদকে।
প্রথমার্ধের শুরু থেকে কোয়েম্বাটোরের নেহরু স্টেডিয়ামে দাপটের সঙ্গে খেলা শুরু করেছিল লাল-হলুদ। মাঝমাঠের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে উইং দিয়ে ফুটবল খেলছিলেন আলেজান্দ্রো মেনেন্ডেজের ছেলেরা। ফলও এসে যায় ৯ মিনিটের মাথায়। ডিকার অ্যাওয়ে কর্নার মাথা দিয়ে পোস্টের সামনে নামিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার বোরহা পেরেস। হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন ডানমাওয়াইয়া রালতে।
১৭ মিনিটে ফের এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। টনি ডোভালের বাড়ানো থ্রু ধরে চেন্নাই বক্সে ঢুকে পড়েন জবি জাস্টিন। গোলকিপারকে একা পেয়েও যে শট করেন তা বেরিয়ে যায় দ্বিতীয় পোস্টের কয়েক ইঞ্চি বাইরে দিয়ে। এরপর আস্তে আস্তে খেলায় ফেরে আকবড় নাওয়াজের চেন্নাই। ৩৪ মিনিটে স্যান্ড্রোর শট দুরন্ত সেভ করেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক রক্ষিত ডাগর। প্রথমার্ধের বাকিটা সময় বক্স টু বক্স ফুটবল হলেও গোল হয়নি। এক গোলে এগিয়ে থেকেই ড্রেসিং রুমে যায় ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া চেন্নাই একের পর এক আক্রমণ শুরু করে। ৪৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝিতে সমতা ফেরানোর গোল করেন চেন্নাইয়ের বিদেশি ফুটবলার মানজি। এরপর কোলাডোকে ফাউল করা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের খেলোয়াড়রা। বিপক্ষ খেলোয়াড়ের কনুইয়ের আঘাতে কোলাডোর বাঁ চোখের নীচে কালশিটে পড়ে যায়। ওখানেই খেলা থেকে হারিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৭০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের কোটিটাকার ডিফেন্সকে স্তব্ধ করে, রক্ষিত ডাগরকে মাটি ধরিয়ে চেন্নাইয়ের হয়ে ২-১ করেন আলেজান্দ্রো রোমারিও। এরপর আক্রমণ করলেও আর গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। কোলাডোকে তুলে বালি গগনদীপকে নামান লাল-হলুদ কোচ। কিন্তু তাঁকে কার্যত খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
চেন্নাই ম্যাচ হেরে লিগের লড়াইতে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। উল্টোদিকে চেন্নাই আরও কয়েক কদম এগিয়ে গেল চ্যাম্পিয়নশিপের দিকে। এই ম্যাচের পর চেন্নাইয়ের পয়েন্ট দাঁড়ালো ১২ ম্যাচে ২৭। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গল ১১ ম্যাচে ১৯।