
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজস্থানে রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেই সক্রিয় আয়কর বিভাগ। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকে রাজস্থানের বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার বাড়িতে আয়কর দফতর হানা দিয়েছে। আয়কর দফতর রাজ্য পুলিশকে না জানিয়ে সিআরপিএফের সাহায্য নিয়েই তল্লাশি চালাচ্ছে বলেও খবর। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘনিষ্ঠ নেতা-বিধায়কদের বাড়ি এবং অন্যান্য ঠিকানায় হানা দিয়েছেন আয়কর কর্তারা।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে রাজ্যের ৪ শহরের ১৮ জায়গায় হানা দিয়েছে আয়কর বিভাগ। যাঁদের যাঁদের বাড়ি বা অফিসে আয়কর হানা চলছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গেহলটের ঘনিষ্ঠ তিন কংগ্রেস নেতা এবং এক নির্দল বিধায়কও আছেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ছেলে বৈভবের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর হোটেলেও এদিন আয়কর দফতর হানা দেয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন
মানবদেহে এই প্রথম সফল হয়েছে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল, দাবি রাশিয়ার! আশার আলো বেশ উজ্জ্বল
এমনটাও জানা গিয়েছে ওই হোটেলেই কংগ্রেস এবং জোটসঙ্গী ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির কয়েকজন বিধায়ককে রাখা হয়েছিল। সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, আয়কর হানার ফলে ওই হোটেল থেকে বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের ডাকা বৈঠকে পৌছাতে পারেননি। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে এখনও পর্যন্ত ৯৫ জনের কাছাকাছি বিধায়ক পৌঁছেছেন। কংগ্রেস যদিও দাবি করেছে মোট, ১০৯ জন বিধায়ক তাঁদের সমর্থন করছে। অন্যদিকে, এখনও ১৬ জন বিধায়ক শচীন পাইলটের পাশে আছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে পাইলট ঘনিষ্ঠ এক বিধায়ক এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেন বলে খবর। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত রাজনৈতিক ডামাডোল রাজস্থানে। তার মধ্যেই আয়কর দফতরের হানা নতুন বিতর্ক তৈরি করল।
Income Tax Department is conducting searches at several locations in Rajasthan, Delhi and Maharastra. Searches are going in Jaipur, Kota, Delhi and Mumbai. IT Dept Sources say that these searches are being done on a complaint of tax evasion. More details awaited.
— ANI (@ANI) July 13, 2020
এদিনের আয়কর হানা নিয়ে কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি প্রতিশোধ নিতেই আয়দর দফতরকে কাজে লাগিয়েছে। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদামবরমের ছেল কার্তি চিদাম্বরম বলেন, “এটা বিজেপির চেনা খেলা।”
পাইলট শিবির অবশ্য দাবি করছে, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না। সোমবার সকালেও পাইলটের এক ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, শচীন পাইলট আদৌ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন না। তবে কি বিদ্রোহ করে ব্যর্থ হলেন কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। রবিবার তিনি বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ৩০ জন বিধায়ক আছেন। তিনি ইচ্ছা করলে রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ফেলে দিতে পারেন। কিন্তু সোমবার দুপুরের মধ্যে দেখা গেল, শচীনের পক্ষে আছেন বড় জোর ১০ জন বিধায়ক।
তবে এর পরেও নিশ্চিত হচ্ছে না কংগ্রেস। তাদের আশঙ্কা বিজেপির সহায়তায় শচীন যদি আরও কয়েকজন বিধায়ককে নিজের পক্ষে টানতে পারেন, তাহলে সরকার টেকানো মুশকিল হবে। রাজস্থানে দলের সংকট মেটাতে এদিন দিল্লি থেকে জয়পুরে গিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, শচীন পাইলটের জন্য দলের দরজা খোলা আছে। তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। সুরজেওয়ালা বলেন, তিনি দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বার্তা নিয়ে রাজস্থানে এসেছেন।