
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই প্রতিবেশী বাংলাদেশকে ১০টি লোকোমোটিভ দিচ্ছে ভারত। সোমবারই এই ১০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ দেওয়া হচ্ছে এক ভার্চুয়াল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। গত বছর অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়েই এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিল্লি। সেই মতো এদিন হস্তান্তর প্রক্রিয়া হবে। অংশ নেবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বাংলাদেশের পক্ষে থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং রেলমন্ত্রী মহম্মদ নরুল ইসলাম সুজন।
আরও পড়ুন
আত্মহত্যার চেষ্টা দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিজয়লক্ষ্মীর, ভিডিও বার্তায় অভিযোগ সহ-অভিনেতার দিকে
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ হয়েই ওই লোকোমোটিভ ইঞ্জিনগুলি বাংলাদেশে যাবে। নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হলেই নদিয়া জেলার গেদে স্টেশন হয়ে বাংলাদেশের দর্শনায় পৌঁছবে ওই ১০টি ইঞ্জিন।
জানা গিয়েছে, ভারত বাংলাদেশকে যে ইঞ্জিনগুলি পাঠাচ্ছে সেগুলি ৩৩০০ এইচপি ডব্লুডিএম৩ডি লোকোমোটিভ। এগুলি ২৮ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করতে পারবে। এই ইঞ্জিন গুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ঘন্টায় ১২০ কিমি বেগে চলতে পারে। এই ইঞ্জিনগুলির সাহায্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী, দুই ধরনের ট্রেনই চালানো যাবে। এতে মাইক্রোপ্রসেসর-নির্ভর কন্ট্রোল সিস্টেমও রয়েছে। বাংলাদেশে এখন যে সব লোকোমোটিভ রয়েছে তার বেশিরভাগেই কর্মক্ষমতা শেষের দিকে। সেগুলি আর ট্রেন চালাতে সক্ষম নয়। এই অবস্থায় ভারত থেকে লোকোমোটিভ পাঠানো খুবই প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের।
চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে অন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের আর্থিক সম্পর্ক জোরদার করতে ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ নীতিতে গুরুত্ব দিচ্ছে নয়াদিল্লি। এই লোকোমোটিভ সরবরাহ তারই অন্যতম প্রতিফলন বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, রবিবারই ভারতের পণ্যবাহী ট্রেন ৫০টি কন্টেনারে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করেছে বাংলাদেশকে।
