
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত সপ্তাহে দিনের বেলায় রাস্তার মধ্যে খুন হন এক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করে দুই দুষ্কৃতী। সিসিটিভিতে দু’জনকে দেখা যায়। তাদের মধ্যে একজনকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃতের নাম রইস আনসারি। বয়স হয়েছিল ৪৫। গত বুধবার উত্তর দিল্লির জাফরাবাদে নিজের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন রইস। এমন সময় মাস্ক পরা দুই খুনি তাঁর দিকে এগিয়ে আসে। আনসারি তখন নিজের স্কুটারটি পরিষ্কার করছিলেন। দূরে তাঁর ছেলেরা খেলছিল। দুই দুষ্কৃতী আনসারির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। তা থেকে বোঝা যায়, খুনিরা তাঁর পরিচিত ছিল।
কিছুক্ষণ কথা বলার পরেই এক খুনি রিভলভার বার করে। সে আনসারির মাথায় গুলি করতে চেষ্টা করেছিল। আনসারি তাকে বাধা দেন। তারপর তিনি দৌড়ে পালাতে থাকেন। দু’জন তাঁকে তাড়া করে। এইসময় তিনজনই সিসিটিভির ফ্রেমের বাইরে বেরিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনসারিকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তিনি সেখানে মারা যান।
শুক্রবার পুলিশ খুনিদের একজনকে গ্রেফতার করে। তার নাম মহম্মদ উমর। বয়স ১৯। সে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা। জেরায় সে জানায়, ২০১০ সালে জাফরাবাদ অঞ্চলে একজনকে খুন করার দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন আনসারি। কিন্তু কয়েকজন সাক্ষী বয়ান বদল করে। তাই তিনি ছাড়া পেয়ে যান। সেই খুনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মৃতের আত্মীয় ফয়জান ছক কষে। তাকে সাহায্য করে তিন বন্ধু ওয়াসিম, শাহ নওয়াজ এবং মহম্মদ উমর। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
গত কয়েক মাসে এই নিয়ে এরকমই একাধিক হত্যা ঘটে গেল রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায়। দিল্লির বাইরে উত্তর প্রদেশের আগরায় মাসখানেক আগেই মোটরবাইকে করে এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর তিনবার কপালে গুলি করে এক ব্যক্তিকে খুন করে দুই দুষ্কৃতী। কেউ কিছু বোঝার আগেই প্রকাশ্য দিবালোকে, শহরের ব্যস্ত রাস্তায়, রীতিমতো নাটকীয় ভাবে ঘটে যায় এমন ভয়ানক ঘটনা।
দিন কয়েক আগেই গাজিয়াবাদে ভরা রাস্তায় দিনের আলোয় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারে দু’জন। কেউ একজন ঘটনাটির ভিডিও-ও করেন, কিন্তু প্রতিবাদ করতে বা থামাতে দেখা য়ায়নি কাউকে। তার আগে নভেম্বর মাসে দিল্লিতেই ১৯ বছরের একটি ছেলেকে রাস্তার ওপর পিটিয়ে মারে কয়েক জন।